রাজ্য

‘পুলিশ কামড়ে দেবে না তো কী রসগোল্লা ছুঁড়বে নাকি’? চাকরিপ্রার্থীকে পুলিশের কামড়ানো বিতর্কে মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের

চাকরিপ্রার্থীকে পুলিশের কামড়ে দেওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। এরই মধ্যে এবার সেই অস্বস্তির আগুনে ঘি ঢাললেন তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি। পুলিশের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তা কার্যত সমর্থন করে বিধায়ক দাবী করলেন যে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছে, সরকারের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

সেই কারণে তাঁর মত পুলিশ কামড়ে কোনও ভুল করেনি। জনসভায় দাঁড়িয়ে বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, “পুলিশকে যদি কামড়ে দেয়, তাহলে পুলিশ কামড়ে দেবে না তো কি, রসগোল্লা ছুড়বে? আপনারা ভেবে দেখবেন”।

গতকাল, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অজিত মাইতি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের অন্য এক বিধায়ক জুন মালিয়াও। মঞ্চ থেকেই বিতর্কিত মন্তব্য করেন অজিত মাইতি। প্রসঙ্গত, গত বুধবার কলকাতায় টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলার সময় এক চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের হাতে এক পুলিশকর্মী কামড়ে দেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। যদিও ওই মহিলা পুলিশ কনস্টেবল ওয়ি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যে ওই চাকরিপ্রার্থীই নাকি প্রথমে তাকে কামড়ে দিয়েছিলেন।  

এদিনের সভা থেকে বিধায়ক বলেন, “জোর করে চাকরি নেওয়ার জন্য যদি দিনের পর দিন পথ আটকে বসে থাকে, দিনের পর দিন পুলিশের ওপর হুজ্জুতি করে, যদি সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টা করে, যদি পুলিশকে যদি কামড়ে দেয়, তাহলে পুলিশ কামড়ে দেবে না তো কি, রসগোল্লা ছুড়বে”?

এখানেই থেমে থাকেন নি বিধায়ক। তিনি আরও বলেন, “সরকারকে তোমরা বিব্রত করে যাচ্ছ কোন অধিকারে? পুলিশকে বিব্রত করছ কোন অধিকারে”? তাঁর দাবী, “বিক্ষোভকারী পুলিশকে কামড়ে দিলে ‘রে রে করে পাড়া মাথায় তোলা’ হচ্ছে, আর পুলিশকে কামড়ালে, সেটা অপরাধ নয়, এটা হতে পারে না”।

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, “বিধায়কের ভীমরতি হয়েছে”। তাঁর কথায়, এমন কথা যদি বিধায়কের পরিবারের লোকেরা শোনে, তাহলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেবে। সিপিএম নেতার দাবী, এমন নেতাদের জন্যই মানুষের মনে ধারণা তৈরি হয়েছে যে পুলিশ তৃণমূলের লুঠের বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, এ“তৃণমূল এখন পাগল কুকুরের মতো হয়ে গিয়েছে। তাই এসব বলছে। পুলিশের যে নিয়ম নীতি, তা তুলে দেওয়া হোক”। অজিত মাইতিকে সতর্ক করে বিজেপি নেতা বলেন, “কোনদিন দেখবেন, চাকরি প্রার্থীরা আপনাকেও কামড়ে দিয়েছে। তখন আমরাও বলব, ওটা আসলে রসগোল্লা খাওয়ানো হয়েছে”।

Back to top button
%d bloggers like this: