পার্থ-মানিককে পিছনে ফেললেন জীবনকৃষ্ণ, একা তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তে উঠে এল আরও ৮-১০ বিধায়কের নাম

৬৫ ঘণ্টা জেরা-তল্লাশির পর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (recruitment scam) সিবিআই গ্রেফতার করেছে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jiban Krishna Saha)। বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অনেক নথি উদ্ধার হয়েছে। আর সেই নথি থেকেই জানা যাচ্ছে যে নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ-মানিককেও পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। তাঁর একার বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বলে সূত্রে খবর।
জানা যাচ্ছে, ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত অজস্র দুর্নীতি চালিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। টাকার বিনিময়ে যোগ্যদের সরিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছেন তিনি। আর এই চাকরির জন্য ছিল আলাদা আলাদা রেটও। নবম-দশম শ্রেণীর চাকরির জন্য নেওয়া হত মাথা পিছু ১৫-১৬ লক্ষ টাকা। আবার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর চাকরির জন্য মাথা পিছু ধার্য করা হত ২০-২২ লক্ষ টাকা।
গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-তে চাকরির জন্য ১০ ও ৮ লক্ষ টাকা নিতেন বিধায়ক। আর প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য দিতে হত ১০-১২ লক্ষ টাকা। সিবিআইয়ের হাতে ধৃত কৌশিক ঘোষের মতো এজেন্টদের মাধ্যমে প্রার্থী তালিকা পৌঁছত জীবনকৃষ্ণের হাতে। তিনি নিজেও আগে স্কুল শিক্ষক ছিলেন। প্রথমে প্রাথমিকে এবং পরে উচ্চ বিদ্যালয়র শিক্ষকতা করেন। ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে জীবনের কলেজ জীবন থেকে রাজনীতির শুরু। পরে তৃণমূলের বিধায়ক হওয়ারও পর নিজে স্কুলের চাকরি ছেলেকে দেন। তাঁর স্ত্রী সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন নিকট আত্মীয় প্রাথমিকে চাকরি করে দেন।
সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণের বাড়ি থেকে তিন হাজার পাতার নথি উদ্ধার হয়েছে। সেই নথি থেকে আরও ৮-১০ জন বিধায়কের নাম মিলেছে বলে খবর। জীবনকৃষ্ণের বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যাগ থেকেও লেনদেনের তথ্য মিলেছে। যে ৮-১০ জন বিধায়কের নাম উদ্ধার হয়েছে তাদেরও চলতি সপ্তাহ বা আগামী সপ্তাহে তলব করতে পারে সিবিআই, এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা কার যুক্ত, তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।