রাজ্য

এবার পদ্মের খাতায় নাম তুলবেন দিব্যেন্দু’ও! প্রধানমন্ত্রী সভাতেই বিজেপিতে যোগদান, তুঙ্গে গুঞ্জন

কয়েক মাস আগে তৃণমূলের ওপর প্রথম আঘাত এনেছিলেন দাদা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দলত্যাগ‌ই এবারের বিধানসভা নির্বাচনের মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল। এরপর ধীরে ধীরে তৃণমূলী রাজনীতির ওপর থেকে অধিকারী পরিবারের দাপট কমতে থেকেছে। বেড়েছে দূরত্ব।

শুভেন্দু’র হাত ধরে সৌমেন্দু তো আগেই গিয়েছিলেন বিজেপিতে।

আরও পড়ুন- কলকাতার এই কেন্দ্র থেকেই কী প্রার্থী হচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী?

উল্লেখ্য, রবিবারের অমিত শাহ্’র এগরার সভা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন আরেক সাংসদ তথা দিব্যেন্দু-শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীও। এবার কি সেই পথেই হাঁটছেন তাঁর আরেক ছেলেও? উঠছে প্রশ্ন।

কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকার। তবে ২৪ তারিখের ওই সভা থেকে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। সূত্রের খবর, গেরুয়া শিবিরের তরফে সাংসদকে প্রধানমন্ত্রীর সভার আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- সোনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি বিজেপির, কৃষক থেকে শুরু করে মৎস্যজীবী, ওবিসিদের জন্য ঢালাও সংকল্প গেরুয়া শিবিরের

তাৎপর্যপূর্ণ হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা থেকেই  বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন  শুভেন্দু অধিকারী।  বলেছিলেন, রামনবমীর আগেই তাঁর বাড়িতে আরও পদ্ম ফুটবে। সেই থেকেই শুরু হয়েছিল কানাঘুষো। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছিল, শুভেন্দু ও সৌমেন্দুর পথে হেঁটে বিজেপিতে যেতে পারেন শিশির ও দিব্যেন্দুও। ইতিমধ্যে ‘ফুল’ বদল করে ফেলেছেন শিশির অধিকারী। এবার কি তবে তমলুকের সাংসদের পালা? জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।

চোখে পড়ার মতো বিষয়, ফেব্রুয়ারি মাসে একসঙ্গে আটটি প্রশাসনিক পদ ছাড়েন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আটটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ছাড়েন স্বাস্থ্যদপ্তরের মনোনীত সরকারি প্রতিনিধির পদও। সাংসদের এই পদত্যাগ স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছিল তাঁর দলত্যাগের জল্পনা। কিন্তু এর পর এক মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও তৃণমূল ছাড়েননি দিব্যেন্দু। অথচ বিভিন্ন সময় তাঁকে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে।  তৃণমূলের বিরুদ্ধেও নাগাড়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তমলুকের সাংসদ। পেয়েছেন খুনের হুমকি‌ও। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি। উল্টে বারবারই বলেছেন, তিনি ‘দিদির অনুগামী’।

এবার দেখার আগামী ২৪শে মার্চ তিনি কি পদক্ষেপ নেন। ‌

Back to top button
%d bloggers like this: