দলের বিরুদ্ধে মন্তব্যের জের, হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ করল তৃণমূল, ‘সময়ই কথা বলবে’, সুর চড়িয়ে ফের দাবী বিধায়কের

তাঁর সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ড ও মন্তব্যের জেরে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে। একুশের জুলাইয়ের সমাবেশে আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়েও দলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন তিনি। নিজের দুঃখের কথাও শুনিয়েছিলেন। এসবের মধ্যেই এবার ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল তৃণমূল। শো-কজ করা হল তাঁকে।
শো-কজ নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া হুমায়ুন কবীরের?
আজ, শনিবার হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে শোকজের নোটিশ পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। দলের তরফে জানানো হয়েছে যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলবিরোধী কাজ করায় এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে বিধায়ককে। এও নোটিশ সম্পর্কে এক সংবাদমাধ্যমে হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমি এখন বহরমপুরে রয়েছি। এক ঘণ্টা আগে আমার বাড়ির ঠিকানায় চিঠি এসেছে। আমার ছেলে গুলাম নবি আজাদ সেই চিঠি সংগ্রহ করেছে”।
বিধায়ক জানান, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সই করা লেটারহেডে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে সেই চিঠিতে কী লেখা রয়েছে, তিনি তা এখনও পড়ার সুযোগ পাননি। তাঁর কথায়, “বহরমপুর থেকে ফিরে আমি নিশ্চয়ই সেটা পড়ব। রাজ্য নেতৃত্ব যা জানতে চেয়েছে, আমি যথাযথ সময়ে সেই শোকজ়ের উত্তর নেতৃত্বকে দেব”।
তিনি আরও বলেন, “আমি ৪৩ বছর ধরে রাজনীতি করি। ১৮ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করছি। যতদিন আমার শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকব। তৃণমূল নেত্রীকে দেখে নতুন করে ২০২০ সালে অনেক তিক্ততা ভুলে আমার আমি তৃণমূলের কাছে অঙ্গীকার করেছিলাম। বলেছিলাম, আমাকে দল করার সুযোগ দেওয়া হোক। নেতৃত্বও আমাকে দল করার সুযোগ দিয়েছে। নিজের এলাকায় না দিলেও পাশের বিধানসভায় প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছে”।
এর আগেও হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল তৃণমূল। দল থেকে সাসপেন্ডও হয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই ক্ষোভের কথাও এদিন জানান ভরতপুরের বিধায়ক। বলেন, “আমার রাজনৈতিক জীবনে বিগত দিনে অনেক ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দলের তৎকালীন মহাসচিব অন্যায়ভাবে আমাকে আত্মপক্ষ পর্যালোচনার সুযোগ না দিয়েই ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিলেন। আমার প্রতি অন্যায় হয়েছিল, অবিচার হয়েছিল”।
হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন যে তিনি শোকজের যথাযথ উত্তর দিয়ে নেতৃত্বের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবেন। তারপরও যদি তিনি ব্যর্থ হন, তাহলে কী পদক্ষেপ করবেন, সেটি অবশ্য স্পষ্ট করেননি বিধায়ক। তাঁর কথায়, আগামী দিনে তাঁর ঠিক কী কর্মসূচি হবে, তা নিয়ে সময়ই কথা বলবে।