রাজ্য

ঔদ্ধত্য তৃণমূলের! ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, আইএসএফ প্রার্থীকে বেধড়ক মারধর তৃণমূল কর্মীদের, নির্বাক দর্শক পুলিশ

গত শনিবার পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। খু’নো’খু’নি থেকে শুরু করে ভোট লুট, বোমাবাজি, ছাপ্পা ভোট কোন কিছুই বাদ যায়নি। আর আজ, মঙ্গলবার ভোঢ় গণনার দিনও সেই একই ধরণের ছবি উঠে এল রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে।

ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছে?

হাবড়ার অশোকনগরে এক আইএসএফ প্রার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন হাবরা ২ নম্বর ব্লকে অশোকনগরের এক স্কুলে চলছিল ভোট গণনা। কিন্তু সেই ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢুকতেই পারলেন না বেরাবেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের আইএসএফ প্রার্থী ইজরায়েল মণ্ডল। গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা আইএসএফ এজেন্টকেও।

ক্যামেরায় ধরা পড়ে এমনই দৃশ্য। তাতে দেখা যাচ্ছে আইএসএফ প্রার্থীকে টেনে হিঁচড়ে ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে বের করতে চাইছে তৃণমূল কর্মীরা। ওই প্রার্থীকে মারধরও করতে দেখা যায় তৃণমূলকে। এর ধ্বস্তাধস্তির জেরে ছিঁড়ে যায় আইএসএফ প্রার্থীর পোশাক। তাঁকে বারবার বলতে শোনা যায় কেন তাঁর সঙ্গে এমন করা হচ্ছে? তাঁর দাবী, সেই অঞ্চলে তাঁর জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন তাঁকে এভাবে বের করে দেওয়া হচ্ছে গণনা কেন্দ্র থেকে।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

আর সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, এই ঘটনা যখন ঘটছিল, সেই সময় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু তারা কোনওভাবে আইএসএফ প্রার্থীকে সাহায্য করার বা তৃণমূল কর্মীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন নি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এদিন সকালেই পুলিশের অতি সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে ব্যারাকপুর ১ ব্লকে। সেখানেও এমনই এক ঘটনা ঘটে। সেখানে বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দিতে দেখা যায় পুলিশকেই। সেখানে যদি পুলিশ এতটাই সক্রিয় হয়ে থাকে, তাহলে হাবড়ার এই ভোট গণনা কেন্দ্রে পুলিশ উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কেন কোনও পদক্ষেপ করল না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। নাকি পুলিশও তৃণমূলকে সমঝে চলে বলেই এই ধরণের আচরণ? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ওয়াকিবহাল মহলে।

Back to top button
%d bloggers like this: