দ্বিতীয় যাদবপুর? কলেজ ক্যাম্পাসে বসেই গাঁ’জা’য় সুখটান তৃণমূল ছাত্রনেতার, ভিডিও ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়

কলেজ ক্যাম্পাসে বসেই বানাচ্ছেন গাঁ’জা’। এখানেই শেষ নয়, তা বানিয়ে আবার সুখটানও দিচ্ছেন। তৃণমূল ছাত্রনেতার এমনই এক ভিডিও এবার তুমুল ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায় (যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি খবর ২৪x৭)। এই ভিডিওকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এসএফআইয়ের দাবী, ওই ছাত্র ওই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানা এলাকার হাটগোবিন্দপুর ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে। সেখানেই মা’দ’ক সেবন করছেন কয়েকজন পড়ুয়া। এসএফআইয়ের দাবী, ওই ছেলেটিই টিএমসিপি হাটগোবিন্দপুর কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিতেশ শেঠ। তিনি ওই কলেজেরই দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া।
কী দেখা গিয়েছে ভাইরাল ভিডিওতে?
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি খোলা জায়গায় কয়েকজনের সঙ্গে বসে রয়েছেন হাট গোবিন্দপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক। জানা গিয়েছে, সেটা ওই কলেজের ক্যাম্পাস। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সি’গা’রে’টে গাঁ’জার পুরিয়া ভরা হচ্ছে। তারপর তাতে টান দিয়ে ধোঁয়া ওড়াচ্ছেন ওই ছাত্রনেতা-সহ বাকিরা।
অভিযোগ, কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে নিয়মিত মা’দ’ক সেবনের আসর বসে। আর সেখানে সশরীরে হাজির থাকেন কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
কী বলছে বাম সংগঠন?
এই ভিডিওকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে এসএফআই। তাদের অভিযোগ, শাসকদলের ছাত্র সংগঠন কলেজগুলি পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করছে। এসএফআই জেলা সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী বলেন, “বর্ধমান জেলার অভ্যন্তরে যে কলেজগুলি রয়েছে সেই কলেজগুলিকে টিএমসিপি ম’দ-মা’তা’লের আখড়া করে তুলেছে। অবিলম্বে এদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে”।
কী দাবী তৃণমূলের?
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি স্বরাজ ঘোষ দাবী করেন, “যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটির সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। কলেজ ক্যাম্পাসে মধ্যে এই ধরনের কাজের সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে”।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রনেতা হিতেশ শেঠ বলেছেন, “দেড় বছর আগের ভিডিও। সেটা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এখন এইভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে”। এরপরই তিনি আবার বলেন, “ভিডিওতে এডিট করে আমার ছবি বসানো হয়েছে। আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেব”।
কী প্রতিক্রিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষের?
কলেজের অধ্যক্ষ অমলকুমার ঘোষ বলেন, “কলেজের কিছু পুরনো নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই সব করছে। আমি কঠোর হওয়ায় তারা চক্রান্ত করে কলেজকে বদনাম করতে চাইছে। আমি ভিডিও দেখিনি। তবে এখন অনেক কিছুই এডিট করে ভুয়া খবর ছড়ানো হয়। কলেজ ক্যাম্পাসে মাদক সেবনের মতো এমন কিছু ঘটেনি”।