রাজ্য

রাজ্যের হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ঢুকেছে  বহু বহিরাগত দুষ্কৃতী! কমিশনকে চিঠি শাসকদলের

বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট আসন গুলির মধ্যে অন্যতম হল নন্দীগ্রাম। এখান থেকেই ভোটে লড়ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আর এই আপনাকে কেন্দ্র করেই এবার নতুন উদ্বেগ তৈরী হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে।‌ শাসকদলের অভিযোগ ভোটের মুখে রাজ্যের সবচেয়ে চর্চিত এই কেন্দ্রটিতে ঢুকে পড়েছে বহু বহিরাগত দুষ্কৃতী।

নির্বাচনের মধ্যেই এঁরা ওই কেন্দ্রে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করতে পারে, এই আশঙ্কায় নির্বাচন কমিশনকে ইতিমধ্যেই একটি চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। ওই চিঠিতে নির্দিষ্ট কিছু জায়গার নাম উল্লেখ করেছে ঘাসফুল শিবির দাবি করেছে, এই নির্দিষ্ট এলাকাগুলিতে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহিরাগতদের ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- কলকাতার এই কেন্দ্র থেকেই কী প্রার্থী হচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী?

এমনকি নির্বাচন কমিশনকে লেখা ওই চিঠিতে বিজেপি নেতাদের নাম পর্যন্ত উল্লেখ করে দিয়েছে  তৃণমূল কংগ্রেস। কালীপদ শি, মেঘনাথ পাল, পবিত্র কর এবং ভজহরি সামন্ত নামের চার বিজেপি নেতা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের নাম উল্লেখ করেছে।

আরও পড়ুন- সোনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি বিজেপির, কৃষক থেকে শুরু করে মৎস্যজীবী, ওবিসিদের জন্য ঢালাও সংকল্প গেরুয়া শিবিরের

শাসক শিবিরের দাবি করে জানিয়েছে এই বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে এমন বহু মানুষ আস্তানা গেড়ে রয়েছেন, যাঁরা নাকি আদতে নন্দীগ্রামের ভোটারই নন। রাজ্যের হাই ভোল্টেজ কেন্দ্রে অশান্তি পাকানোর উদ্দেশে আশেপাশের এলাকা থেকে এঁদের এই কেন্দ্রে আনা হয়েছে। কমিশনকে লেখা চিঠিতে ডেরেক দাবি করেছেন, সব মিলিয়ে শতাধিক বহিরাগত এই এলাকায় বাইক নিয়ে দাপট দেখাচ্ছে। এমনকী এঁদের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর নিয়মিত যোগাযোগ আছে বলেও অভিযোগ করেছে শাসক শিবির। এই বহিরাগতদের সঙ্গে শুভেন্দুর এক নির্বাচনী এজেন্টকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে বলেও দাবি জোড়াফুল শিবিরের। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Back to top button
%d