শেষ নেই বিতর্কের! কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ, ফের সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন, ফের ধাক্কা জুটবে না তো?

দু’দিন আগেই সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছিল শীর্ষ আদালত। গতকাল, বুধবার হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে হবে কমিশনকে। ২০১৩ সালের সমান বা তার থেকে বেশি অর্থাৎ কমপক্ষে ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান আনতে হবে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য। এবার হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
গতকাল, বুধবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ ছিল, “২০১৩ সালে যে পরিমাণ বাহিনী মোতায়েন ছিল, তার থেকে কম বাহিনী চাইলে হবে না। বরং তার থেকে বেশি চাইতে হবে, কারণ এখন জেলার সংখ্যা বেশি। কমিশন আদালতের আগের নির্দেশকে মান্যতা দেয়নি। কমিশন মূল্যায়নের কাজ সততার সঙ্গে এবং নিরপেক্ষভাবে করবে বলে আদালত আশা করে। কেন কমিশন স্বতন্ত্রভাবে কেনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না, সেটা স্পষ্ট নয়”।
হাইকোর্টের এই রায়ের পর এদিন রাতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা সচিব ও আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে, তা যদিও সঠিক জানা যায়নি। তবে এই বৈঠকেই কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে হাইকোর্টের রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে তারা। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলার উল্লেখ করা হবে বলে খবর। আজই এই মামলার শুনানি হতে পারে।
দু’টি বিষয় নিয়ে হাইকোর্টে প্রশ্ন তোলা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। প্রথমত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের হাইকোর্ট যে বিশাল পরিমাণ বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে, তার কী কোনও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? দ্বিতীয়ত, মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে এত বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা কীভাবে সম্ভব? দিন দুয়েক আগেই বাহিনী সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছিল কমিশন। এবার ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে তারা।
অন্যদিকে, এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যাতে একপাক্ষিক শুনানি না দেয়, সেই কারণে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কংগ্রেসের তরফেও একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে। তারাও এই মামলার অংশ হবেন। এবার দেখা ফের একবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খায় নাকি তাদের আবেদন মেনেই রায় দেয় শীর্ষ আদালত?