বড় সুখবর! এবার কলকাতার খুব কাছেই খুব তাড়াতাড়ি চালু হচ্ছে রোপওয়ে, পরিবহণের স্বাদ পাল্টাতে নয়া চমক পর্যটন দফতরের

একবার ভাবুন তো, শহরের মাথার উপর দিয়ে ঝুলতে ঝুলতে একস্থান থেকে অন্যস্থানে পাড়ি দিচ্ছেন আপনি। মনে হচ্ছে যেন শূন্যে ভাসছেন। কী! ভাবছেন তো, এমন অভিজ্ঞতা তো পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একমাত্র দার্জিলিংয়ে গেলেই মেলে। কিন্তু এবার শহরবাসীর জন্যও এমন এজক সুযোগ আনতে চলেছে পর্যটন দফতর। কলকাতার খুব কাছেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুরে চালু হচ্ছে রোপওয়ে। স্বামীনারায়ণ মন্দির থেকে ভাসা পর্যন্ত চালু হচ্ছে রোপওয়ে।
এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার পরিবহণ দফতরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পরিবহণসচিব বিনোদ কুমার, দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল তাঁর আপ্তসহায়ক অরূপকুমার দাস-সহ অন্য আধিকারিকরা। এছাড়াও ছিলেন যে সংস্থা এই রোপওয়ে তৈরির কাজ করবে, তাদের কর্তারাও। প্রথমে ওই দেড় কিলোমিটারে রোপওয়ে চালু হলেও ভবিষ্যতে আমতলা-বাঁকড়াহাট এবং জোকা-শিরাকোল রুটেও রোপওয়ে চালু করা হবে। আমতলা-বাঁকড়াহাট রুটে প্রাথমিকভাবে সাতটি স্টেশন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
দার্জিলিংয়ে থাকলেও শহরের কাছাকাছি কোথাও রোপওয়ে নেই সেভাবে। কোনও কোনও পার্কে জয় রাইড হিসেবে তা ছিল একসময়। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, যে এলাকার উপর রোপওয়ে তৈরি হবে, সেখানকার জমি রোপওয়ে তৈরির সংস্থা নিজেরাই ওই জমির মালিকের থেকে কিনবে নাকি সরকার কিনে নিয়ে তারপর সংস্থাকে দেবে, তা এখনও স্থির হয়নি।
এরপর কলকাতাতেও রোপওয়ে চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গঙ্গা পারাপার করার জন্য রোপওয়ে চালু করা যায় কী না, তা নিয়েও অইও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একস্থান থেকে অন্যস্থানে দ্রুত যেতে রোপওয়ে যে এক ভালো গণপরিবহণের মাধ্যম হয়ে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য।
রোপওয়ে স্টেশন বানাতে খুব বেশি জায়গার দরকার পড়ে না। প্রতিটি কেবল কারে আট থেকে দশজন করে যাত্রী বসতে পারবেন। রোপওয়ের স্টেশনের উপরে পৌঁছতে লিফটের ব্যবস্থা থাকবে। কলকাতাতেও যদি রোপওয়ে চালু হয়, সেক্ষেত্রে দূষণ কমিয়ে শহরে গণপরিবহণে একটা নতুন অধ্যায় শুরু হবে বলা যায়।