পুলিশি হেফাজতে চরম হেনস্থা, বেধড়ক মারধরের অভিযোগ, বাড়ি ফিরে অপমানে আত্মঘাতী বাগুইহাটির যুবক

পুলিশি হেফাজতেই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল যুবককে। সেও অপমানে আত্মঘাতী ২৯ বছরের এক যুবক। নাম ঋত্বিক গুপ্ত। যুবকের পরিবারের তরফে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় বাগুইহাটির বাগুইহাটির বিদ্যাসাগর পল্লিতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, বছর ২৯-এর ওই যুবক কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। গত ২৯শে জুন বাগুইহাটির থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ওই যুবককে। অভিযোগ, ওই যুবক প্রতিদিন বাইক নিয়ে উত্যক্ত করতেন মহিলাদের।
সূত্রের খবর, ২৯শে জুন বাড়ি ফেরার পথে বাগুইহাটি জাগৃতি সংঘের কাছে ঋত্বিককে ঘিরে ধরে বেশ কয়েকজন লোক। তারাই তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই যুবককে গ্রেফতার করে বারাসাত আদালতে তোলে পুলিশ। ৩০শে জামিন পান ঋত্বিক।
বাড়ি ফেরার পর শনিবার সকালে নিজের ফ্ল্যাট থেকে ঋত্বিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, পুলিশি হেফাজতে চরম হেনস্থা করা হয়েছে তাকে। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এমনকি, ওই যুবক যে হাসপাতালে কাজ করতেন, সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। এই কারণে অপমানে আত্মঘাতী হয়েছেন ঋত্বিক, এমনটাই দাবী তাঁর পরিবারের।
এই ঘটনার পরই উত্তপ্ত হয় বাগুইহাটি এলাকা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ঋত্বিকের পরিবার ও স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে বিধাননগর থানার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা গেলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিধাননগর থানার আইসি কথা বলেন ওই যুবকের বাবার সঙ্গে।
যুবকের বাবা বলেন, “আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে পুলিশ। পুলিশকে আমার ছেলেকে মারার অধিকার কে দিয়েছে। যে আমার ছেলেকে মেরেছে, তার শাস্তি চাই”। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির দাবী করেছেন ঋত্বিকের বাবা।