‘গোটা সরোবরের জলকে একটা মাছ নোংরা করে দিতে পারে’, দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী

রাজ্য সরকার একের পর এক দুর্নীতিতে বিদ্ধ। কয়লা, গরু, এসএসসি, টেট নানান দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের একাধিক নেতার। নানান মামলায় চলছে ইডি-সিবিআইয়ের তদন্ত। এর জেরে কার্যত কোণঠাসা তৃণমূল। এবার দলের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন তারকা-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জিতে যাদবপুরের সাংসদ হন মিমি। এরপর থেকে তাঁকে নানান দলীয় সভা, সমাবেশে দেখা গিয়েছে। কিছুদিন আগেই তৃণমূলের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো অভিযোগ করেছেন যে মিমি, নুসরত, জুন মালিয়ারা নাকি লুটেপুটে খাচ্ছেন। এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেন নি মিমি। তবে এবার তিনি জানান যে তিনি কোনও দুর্নীতি করেন নি। তাও তাঁর গায়ে কোনও দাগ লাগবে না।
মিমির কথায়, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে রাজনীতিতে এসেছেন। তাঁর কথা মতোই তিনি কাজ করে যাবেন। মিমি এও স্বীকার করেন যে একটি মাছ গোটা সরোবরের জল নোংরা করে দিতে পারে। তবে তার আগেই মাছটিকে ধরে বাদ দেওয়া হয়। মিমির এই ইঙ্গিত কার উদ্দেশে ছিল তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
যাদবপুরের সাংসদ হওয়ার পর থেকে বশ দায়িত্ব বেড়েছে মিমির। নানান দলীয় সভা ও সমাবেশে তাঁকে দেখা গেলেও, নিজের এলাকায় তাঁর বেশি দেখা মেলে না বলেই অভিযোগ। একুশের নির্বাচনের আগে অনেক তারকাই নানান রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন। এখন মিমির অনেক সহকর্মীই রাজনীতিতে।
মিমিকে প্রশ্ন করা হয় যে তিনি কী ভবিষ্যতে দল বদলাতে দেখা যাবে? আগামীতে বিজেপি বা বিরোধী কোনও দলে তিনি যোগ দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তর তিনি একেবারে উড়িয়ে দেন নি। তিনি জানান যে এই উত্তরটা সময় দেবে। তবে বিজেপি নানান নেতামন্ত্রীর বিরুদ্ধেও নানান অভিযোগ রয়েছে। সেসব নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি মিমি।