মর্গে সুশান্তের দেহ দেখে কান্না, জড়িয়ে ধরে উচ্চারণ “সরি বাবু”, রিয়ার ‘অচেনা’ আচরণে হতবাক নেটপাড়া

সুশান্ত সিং রাজপুত এর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ৬৯ দিন অতিক্রান্ত, কিন্তু গোটা ঘটনার ধোঁয়াশা এখনও বাড়ছে বই কমছে না। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে রিয়া চক্রবর্তী এবং মহেশ ভাটের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এর বেশ কিছু অংশ। তাতে রীতিমত বিতর্কও শুরু হয়েছে। এছাড়াও এর আগে জানা গিয়েছিল সুশান্তের দেহের ময়না তদন্তের সময় কুপার হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। ৪৫ মিনিট সেই সময় উপস্থিত থেকে রিয়া প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি সংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
এদিকে সুরজিৎ সিংহ রাঠোর নামের এক ব্যক্তি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে, রিয়াকে তিনি ১৫ই জুন কুপার হাসপাতালে সুশান্তের দেহ দেখতে নিয়ে গেছিলেন। কুপার হাসপাতালের মর্গে সুশান্ত’র মৃতদেহ দেখে কেঁদে ফেলেন রিয়া। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি বলেন, ‘সরি বাবু’।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘ধোনি’ সিনেমার অ্যাসোসিয়েট প্রোডিউসার তথা সুশান্ত ও রিয়ার বন্ধু সুরজ সিংহ রিয়ার সঙ্গে কুপার হাসপাতালে এসেছিলেন। সুরজই তাকে বলেছিলেন যে, সুশান্তের পরিবার রিয়াকে সুশান্তের শেষকৃত্যে যেতে দেবে না। তাই হাসপাতালের মর্গে সুশান্তের দেহ শেষবারের মতো রিয়াকে দেখিয়ে দিতে। তিনিই রিয়াকে মর্গের ভেতরে নিয়ে যান এবং সাদা চাদর সরিয়ে সুশান্ত’র মুখ তাকে দেখান।
জানা গিয়েছে, চাদর সরানোর পর রিয়া কাঁদতে শুরু করেন। সুশান্তের দেহ দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলে ওঠে, “সরি বাবু”। পাঁচ মিনিট এই অবস্থায় থাকার পর রিয়াকে বাইরে বার করে আনা হয়।
সুরজিৎ এর কথায়, রিয়া সুশান্তের দেহ ছুঁয়ে সরি বলে তিনি খুব অবাক হয়েছিলেন। তার মনে হয়েছিল রিয়া নিজের কোন কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইছেন সুশান্তের কাছে।
এই গোটা ঘটনায় আরেকটি গোল বেঁধেছে। সুরজিৎ এর বক্তব্য, রিয়ার সঙ্গে ওই দিন কুপার হাসপাতালে তাঁর মা, ভাই শৌভিক ও এক বয়স্ক ব্যক্তি এসেছিলেন, যাঁকে তিনি চিনতে পারেননি।
এরপর সুশান্তের পরিবার সুশান্তের দেহ শেষবারের মতো দেখতে চাইলে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা অনুমতি দিতে অস্বীকার করেন। সেই হিসাবে রিয়া একমাত্র ব্যক্তি যে সুশান্তের মৃতদেহ মর্গের ভেতর ঢুকে দেখতে পেয়েছেন। এখান থেকেই উঠছে প্রশ্ন যে, সুশান্তের নিজের পরিবারকে তাঁর দেহ শেষবারের মতো দেখতে দেওয়া হলো না কিন্তু রিয়াকে এই অনুমতি দেওয়া হয় কী করে?