বিয়ের মাঝে পণের দাবী, মাঝপথেই বিয়ে থামিয়ে পাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখল পাত্রীপক্ষের লোকজন, ভিডিও দেখে বাহবা নেটিজেনদের

পণপ্রথা বেআইনি হলেও তা বন্ধ হয়নি এখনও। কোথাও লুকিয়ে তো কোথাও আবার খোলাখুলিই চলে এই পণপ্রথা। তবে এখন অনেকেই এই পণপ্রথার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন বৈ কী! বিশেষত কনের বাড়ির লোকজনদের দেখা যায় পণপ্রথার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে।
এবার সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটল যা দেখে নেটিজেনরা যে অবাক হয়েছেন শুধু তাই-ই নয়, এর প্রশংসাও করেছেন তারা। আসলে বিয়ে চলাকালীনই পণ চেয়েছিল পাত্রপক্ষ। আর তাতেই ক্ষেপে যায় কনের বাড়ির লোকজন। এরপরই বিয়ে থামিয়ে পাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন তারা। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় এলাকায়। ঘটনার সূত্রপাত বিয়ে চলাকালীনই। প্রাথমিকভাবে বরপক্ষের কয়েকজন কন্যাপক্ষের লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে জানা যায়। সেই নিয়েই নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন দুই পক্ষ।
আর এই বচসার মাঝেই মালাবদল চলাকালীন আচমকা পণ চেয়ে বসে পাত্র অমরজিৎ। ব্যস, তাতেই রাগ চেপে যায় কনেপক্ষের লোকজনদের মাথায়। বাড়তি কোনও বাক্যবিনিময় না করে তৎক্ষণাৎ বিয়ে বন্ধ ত্র দেন তারা। আর পাত্র অমরজিৎকে ধরে একটি গাছে বাঁধেন পাত্রীপক্ষের লোকজন। সেই ঘটনারই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে সমাজমাধ্যমে।
प्रतापगढ की तस्वीरें देखिए
दूल्हे ने किया शादी से इंकार ,दूल्हे को बंधक बनाकर दी गई तालिबानी सज़ा#pratapgarh pic.twitter.com/OtqTdzNj5A
— Rahul Sisodia (@Sisodia19Rahul) June 15, 2023
এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা জানায়, দু’পক্ষ প্রাথমিকভাবে নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে ততক্ষণ গাছের সঙ্গেই বেঁধে রাখা হয় পাত্রকে। কিন্তু অনেক আলোচনার পরও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি বলে খবর। শেষমেশ পুলিশ অমরজিৎকে ছাড়িয়ে আনে। তবে এত কাণ্ডের পর শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয়েছিল কী না, তা অবশ্য জানা যায়নি।