কলকাতা

হোটেলেও গোষ্ঠীকোন্দল তৃণমূলের! ঝামেলার জেরে ১৪৪ ধারা জারি কলকাতার ঐতিহ্যবাহী পাঁচতারা হোটেলে, ফিরহাদ বললেন, ‘ছোট্ট ঘটনা’

গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এবার পাঁচতারা হোটেলেও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। আর এর জেরে হোটেল ও হোটেল সংলগ্ন এলাকায় জারি করা হল ১৪৪ ধারা। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুর থানা এলাকায়র এক ঐতিহ্যবাহী পাঁচতারা হোটেলে।

জানা গিয়েছে, ওই হোটেলের দুই কর্মী গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ নিয়ে ঘটেছে ঘটেছে। এরা সকলেরই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। আর এর জেরেই লেগেছে রাজনৈতিক রঙ। তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে বিবাদ থামানোর জন্য আদালতের দ্বারস্থও হতে হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই ঘটনায় তদন্ত করে আলিপুর থানাকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন আদালত।

গত ২ মে থেকে সেই নির্দেশ বলবৎ রয়েছে। হোটেলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রেখে কর্মীদের সংযত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, তাতেও পরিস্থিতি পাল্টায় নি। পাঁচতারা হোটেলের জেনারেল ম্যানেজারকে ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে হোটেলের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। গত শনিবার দ্বিতীয় নোটিশ জারি করা হয়েছে।

হোটেল সূত্রে খবর, শ্রমিক ইউনিয়নের দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। দুই গোষ্ঠী এলাকার দুই প্রভাবশালী নেতার নিয়ন্ত্রণাধীন। একজন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আর একজন ক্ষমতাশীল মন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণাধীন গোষ্ঠীর। এই পাঁচতারা হোটেলটি মূলত মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের এলাকা। সেখানে এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে।

হোটেল কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে নোটিশ জারি করার পরও  এই ধরনের বিশৃঙ্খলা কীভাবে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষের মতে, এই অশান্তির পাঁচতারা হোটেলের পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়বে না। হোটেল কর্তৃপক্ষের কথায়, “হোটেল সকলের জন্য খোলা। পরিষেবা যথাযথ রয়েছে। আমরা সুষ্ঠভাবে কাজ পরিচালনার জন্য বদ্ধপরিকর”।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “একটা ছোটখাটো ঝামেলা হয়েছিল। আমাকে ফোন করেছিল আমি মিটিয়ে দিয়েছি। ধরনায় বসেছিল একটা পক্ষ। আমি পুরো ব্যাপারটাই মিটিয়ে দিয়েছি। দেবলীনা বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওখানে ইউনিয়নটা দেখবার জন্য। পিছনে যত বড়ই প্রভাবশালী নেতা থাকুক না কেন, কোনও অসভ্যতা করলে, দল কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে”।

তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোপ দাগতে ছাড়ে নি বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “তৃণমূল যেখানে থাকবে, সেখানেই অশান্তি হবে। ভোটেও হয়, রিইউনিয়নের দখলদারিতে হবে। হোটেলে যদি ১৪৪ ধারা জারি হয়, তাহলে পাঁচ জন অতিথি যদি একসঙ্গে ঢোকেন, তাহলেও তো গ্রেফতার হয়ে যাবেন। সব প্রতিষ্ঠানই ওরা ধ্বংস করেছে। এই জায়গাও ধ্বংস করবে। আমার মনে হয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন ব্যান করে দেওয়া উচিত”।

Back to top button
%d bloggers like this: