দেশ

ভারতের ক্ষুদ্রতম নবজাতক! ওজন ৪০০ গ্রাম, ধরা যায় হাতের তালুতেই, বাঁচার আশা ছিল ১ শতাংশেরও কম, জীবনযুদ্ধে সামিল একরত্তি

সময়ের অনেকটা আগেই জন্ম হয়েছিল তার। মাত্র ২৪ সপ্তাহের মাথাতেই পৃথিবীর আলো দেখে সে। আর জন্মইস্তক লড়াই। জন্মের সময় ওজন ছিল মাত্র ৪০০ গ্রাম যা বাজারচলতি দুধের প্যাকেটের থেকেও কম। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন সদ্যোজাত শিশুর বাঁচার আশা ০.৫ ভাগের মতো। কিন্তু জীবনযুদ্ধে প্রাণপণ লড়ে সকলকে ভুল প্রমাণ করে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে পুণের সদ্যোজাত কন্যা শিবন্যা।

জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২১ মে জন্ম হয় শিবন্যার। পুণের সূর্য মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার হসপিটালের শিশু চিকিৎসক সচিন শাহের জানিয়েছেন যে গর্ভাবস্থার সময় ও জন্মের সময় শিশুটির ওজনের কথা বিবেচনা করলে শিবন্যাই ভারতের ইতিহাসে ক্ষুদ্রতম নবজাতক।

কিন্তু জন্মের পর থেকে টানা ৯৪ দিন আইসিইউতে ছিল সে। ২৩শে আগস্ট ওই শিশুকন্যাকে আইসিইউ থেকে বার করা হয়। সেই সময় তার ওজন ছিল ২,১৩০ গ্রাম। চিকিৎসকরা জানান, যে বাচ্চাদের জন্ম ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহের পর হয়, তাদের স্বাভাবিক ওজন ২,৫০০ গ্রামের মতো ধরা হয়। ফলে আইসিইউ থেকে বার করার সময় অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে শিবন্যার অবস্থা।

একরত্তির বাবার কথায়, জন্মের প্রায় সাত মাস পর শিবন্যার ওজন প্রায় ৪.৫ কিলোগ্রাম। এখন নিয়মিত খাওয়াদাওয়া করে সে। একরত্তির এই লড়াই তার মা-বাবা ও চিকিৎসককে নতুন আশার আলো দেখিয়েছে।

শিশু চিকিৎসক সচিন শাহ দাবী করে বলেন যে এর আগে ভারতে এত ছোটো নবজাতকের প্রাণ রক্ষার ঘটনা কোনও ঘটনা নথিবদ্ধ নেই। চিকিৎসকের মতে, শিবন্যার এই ঘটনা আসলেই চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষণ, এমনটা বলা যেতেই পারে।

Back to top button
%d bloggers like this: