রাজ্য

লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট! আরও একটা মাস্টারস্ট্রোক মমতার, এবার নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ার সংযোগকারী সেতু তৈরি করবে রাজ্য সরকার

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchyet Election)। এর আগে আরও একটা মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নন্দীগ্রাম (Nandigram) ও হলদিয়ার (Haldia) সংযোগকারী সেতু তৈরি করবে এবার রাজ্য সরকার। আজ, শুক্রবার এমনটাই ঘোষণা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি এও জানান যে এই সেতু তৈরি হলে পূর্ব মেদিনীপুরের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি হবে।

আজ, শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরবাসী তথা নন্দীগ্রামবাসীর জন্য বহু কাজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও হাসপাতাল, কখনও তমলুক-দিঘা রেল যোগাযোগ, এমন অসংখ্য কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দিয়েছেন। নতুন বছরে আমরা খুব আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন হলদিয়া এবং নন্দীগ্রামের মধ্যে সেতু তৈরি করবে রাজ্য সরকার। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের ডিপিআর তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। একটু সময় লাগলেও এতে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপকার হবে”।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি নন্দীগ্রাম ও হলদিয়া সংযোগকারী সেতু তৈরি করবেন। গত  বছর রাজ্য বাজেটের সময় এই সেতুর জন্য বরাদ্দও করা হয়েছিল। এবার সেই সেতু তৈরির কাজ শুরু হবে।

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “সেতু চাইছিলেন সেখানের মানুষ৷ বিপুল রাস্তা ঘুরতে হত৷ এবার সেতু হলে মানচিত্র বদলে যাবে। অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে যাবে৷ শনিবার নন্দীগ্রামে শহীদ বেদীতে অনুষ্ঠান হবে। তার আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল”। কুণালের কথায়, “ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, সেটাই করে দেখালেন”।

হলদি নদীর একদিকে নন্দীগ্রাম ও অন্য পাড়ে হলদিয়া। কর্মসূত্রে দুই পাড়ের মানুষকেই অন্য তীরে আসাযাওয়া করতে হয় নিয়মিত। দুই পাড়ের যোগাযোগের মাধ্যম হল ফেরি পরিষেবা। অনেক সময়ই ফেরিতে যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মানা হয় না। সড়কপথে এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যেতে গেলে নন্দকুমার দিয়ে ঘুরে যেতে। কিন্তু এতে সময় লাগে অনেকটা বেশি। সেই কারণে দুই পাড়ের মধ্যে সংযোগকারী সেতু তৈরি হলে তাতে এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যেতে সময়ও কম লাগবে ও টাকাও বাঁচবে, এমনটাই জানালেন সেখানকার বাসিন্দারা।

Back to top button
%d bloggers like this: