রাজ্য

ফের ইডি-র নোটিশ অভিষেককে, কিন্তু তলব সত্ত্বেও কেন হাজিরা দিচ্ছেন না তৃণমূল নেতা? কারণ জানালেন নিজেই

কিছুদিন আগেই তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। সেই সময়ও তিনি নবজোয়ার কর্মসূচিতেই ছিলেন। কর্মসূচি মাঝপথে থামিয়েই হাজিরা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে। এবার ফের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁকে তলব করেছে ইডি। যখন তিনি এই নোটিশ পেলেন, তখন তিনি নদিয়ায়। তবে এবার আর হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে, এমনটাই পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

গতকাল, বৃহস্পতিবার ইডির নোটিশ পাওয়ার পর নদিয়া থেকেই অভিষেক বলেন, “৮ তারিখ নির্বাচন হয়ে যাবে। আপনি যদি ৯ তারিখে আমাকে আসতে বলেন আমি আসব। আপনি যদি ১০ তারিখে আসতে বলেন আমি যাব। ৮ তারিখের পর যেদিন বলবেন আমি যাব। কিন্তু, এখন আমাদের কর্মসূচি রয়েছে, তারপর পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে। মানুষের মধ্যে পৌঁছে যাওয়াই আমাদের এখন একমাত্র প্রচেষ্টা। মানুষের দাবি-দাওয়া, সমস্যার কথা শুনে তা আমার ক্ষমতা অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি। সেই কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি”।

তাঁর সাফ কথা, “এই যাত্রা যতদিন চলছে ততদিন ১০-১২ ঘণ্টা অপচয় করার মতো আমার হাতে সময় নেই। আমি একদিনের জন্যও ব্রেক নিইনি। আরও ৮-১০ দিন এই কর্মসূচি চলবে। এই আরও ৮-১০ দিন ১০-১২ ঘণ্টা অপচয় করার মতো সময় আমার কাছে নেই। এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর আমাকে প্রচারে অংশ নিতে হবে”।

কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “আগেও এরা সিবিআইকে দিয়ে আমাকে ডাকিয়েছিল। তার নির্যাস শূন্য ছিল। আমি বারবার বলি সিবিআই হচ্ছে একটা ইঞ্জিন, ইডি হচ্ছে আর একটা ইঞ্জিন। এটাই হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের নির্দশন বা মডেল। সিঙ্গেল ইঞ্জিন ফেল করেছে তাই আবার ইডিকে লাগিয়েছে”।

শেষবার যখন সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন, সেই সময় অভিষেক বলেছিলেন, “তদন্তের নামে জনসংযোগ যাত্রাকে বাধা দেওয়া ও ভাঙার জন্য এটি একটি ধারাবাহিক, মজ্জাগত, সুপরিকল্পিত অভিসন্ধি। রাজনৈতিক দলের নির্দেশে আজ এই কাজগুলি হচ্ছে”। এবার তেমনই মন্তব্য করলেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইডি কাকে কখন কীভাবে ডাকবে সেটা ইডি জানে। যেহেতু এটা কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চলছে সুতরাং যা বলার শেষ পর্যন্ত আদালত বলবে”।

Back to top button
%d bloggers like this: