লক্ষ্য বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট! ভোটের আগেই ৬০০ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

বাংলায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাই এখন প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের। ২৭শে মার্চ থেকে আট দফায় ভোট গ্রহণ হবে বাংলায়। তবে সেই ভোটগ্রহণ যেনও হিংসাত্মক না হয় সেই জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনীতে রাজ্যকে মুড়ে ফেলতে চাইছে কমিশন।
ভোট শুরুর আগেই রাজ্যে সাড়ে ৬০০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর ২৫শে মার্চের মধ্যেই রাজ্যে দফায় দফায় সাড়ে ৬০০ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহে আরও ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে রাজ্যে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোট ঘোষণার আগে থেকেই বাহিনী আসা শুরু হয়েছে রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত ১১৮ কোম্পানি ইতিমধ্যেই রাজ্যে চলে এসেছে। রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলগুলি নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছিল যে, বিধানসভা নির্বাচন কোনও ভাবেই যেনও রাজ্য পুলিশ দিয়ে না করানো হয়। কারণ রাজ্য পুলিশের ওপর বিরোধী দলগুলির কোনওরকম ভরসা নেই। বাংলার পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করে এই অভিযোগ বারবার তাঁরা এনেছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে এসেছিল ৭৪৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এই বছরে রাজ্যের তরফে চাওয়া হয়েছিল ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা করার জন্য যা ব্যবস্থা নেওয়ার কমিশন নেবে। ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রাজ্যে আসবে এবং সেই সংখ্যাটা হাজার কোম্পানিও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়ার জন্যও ২৫ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে। যা করতে গিয়ে পাহাড় থেকে ৯ কোম্পানি এবং জঙ্গলমহলের দুই জেলা ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া থেকে ৪ কোম্পানি করে মোট ৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কমানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- BIG NEWS: হঠাৎই ইস্তফা দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহল!!!
রাজ্যে গত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে ‘অশান্তি’র আশঙ্কা থাকত পাহাড় ও জঙ্গলমহলে। তাই পাহাড় ও জঙ্গলমহলে আগেভাগেই বাড়তি বাহিনী পাঠিয়ে দিত নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এ বার কমিশন বাহিনী মোতায়েনের সেই ছক বদলে দিয়েছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকা এবং জঙ্গলমহলের দুই জেলা পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের জন্য বরাদ্দ বাহিনী এই বছর কমানো হয়েছে বলে খবর। সর্বাধিক হারে বাড়ানো হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য। প্রথমে এই জেলার জন্য ৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করা হয়েছিল। যা আচমকাই বাড়িয়ে এক ধাক্কায় যা বেড়ে হয়েছে ১৮ কোম্পানি।