রাজ্য

প্রার্থী না-পসন্দ! একযোগে পদত্যাগ ২৫০ জন বিজেপি নেতার

আর চারদিন পর থেকেই রাজ্যে শুরু নির্বাচন। তৃণমূলের মতো বিজেপিতেও প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষ চোখে পড়েছে। বিজেপির সদরদপ্তর হেস্টিংস-এর সামনে বিক্ষোভরত বিজেপি কর্মীদের ছবি দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ও!

আরও পড়ুন- কলকাতার এই কেন্দ্র থেকেই কী প্রার্থী হচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী?

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়  বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছে দিল্লি পর্যন্ত। সূত্রের খবর, প্রার্থী তালিকা নিয়ে এহেন অসন্তোষ দেখে রাজ্য নেতৃত্বের উপর কিছুটা বিরক্তিও প্রকাশ করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। এরইমধ্যে খবর ভোটের কদিন আগেও, প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ২৫০ জন বিজেপি নেতা একযোগে পদত্যাগ করেছেন বলে খবর।  পদত্যাগপত্র ইতিমধ্যে বিধানসভার আহ্বয়কের মাধ্যমে জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন এই বিজেপি নেতারা। যদিও বিজেপি জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, তাঁর হাতে এই পদত্যাগপত্র পৌছায়নি। প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত তাঁর হাতে নেই। তবে তিনি জানিয়েছেন, পদত্যাগপত্র হাতে পেলেই রাজ্য স্তরের নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে সৌমেন রায়কে।  কিন্তু এই প্রার্থী সম্পর্কে কোন‌ও রকম ধারনা নেই  স্থানীয় ও জেলা নেতৃত্বের। এই আগুনে‌ ঘৃতাহুতি দিয়েছে সৌমেনবাবুর স্ত্রীর এক ভিডিও বার্তা।

আরও পড়ুন- সোনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি বিজেপির, কৃষক থেকে শুরু করে মৎস্যজীবী, ওবিসিদের জন্য ঢালাও সংকল্প গেরুয়া শিবিরের

এই ঘটনার পরই দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে কালিয়াগঞ্জের শহর থেকে গ্রাম, ছাত্র, যুব, মহিলা মোর্চার সমস্ত পদাধিকারিরা এক যোগে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার আহ্বায়কের কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেছেন। এই গণ পদত্যাগের ফলে কালিয়াগঞ্জের বিজেপি দলীয় কার্যালয় ভোটের মুখে বন্ধ । আহ্বায়ক রানা প্রতাপ ঘোষ গণ পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েই জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ির কাছে ই-মেইল করে গোটা ঘটনা জানিয়েছেন।

যাঁকে কেউ চেনেন না তাঁকে প্রার্থী হিসেবে তাঁরা মেনে নেবেন না, বলছেন দলত্যাগীরা। সেই কারণেই তাঁরা গণ ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কার্যকর্তারা। তবে এরপরও বিজেপি প্রার্থী সৌমেন রায় কালিয়াগঞ্জে আসেন, সকলের সঙ্গে দেখা করতে৷ জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি জানান, গণ ইস্তফাপত্র তাঁর হাতে আসেনি। এলে তিনি এই বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের নজরে আনবেন।

এবার দেখার ভোটের প্রাক্কালে রাজ্য নেতৃত্ব কি সিদ্ধান্ত নেয়।

Back to top button
%d bloggers like this: