‘ওঁর ঘুমের ওষুধ খেয়ে এখন ঘুমোতে যাওয়া উচিত’, সৌগতর আক্রমণের পাল্টা কটাক্ষ দিলীপের

দুজনেই দুই রাজনৈতিক দলের অতি পরিচিত মুখ। দু’জনেই প্রথম থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন। নানান সময় দু’জনেই দলের হয়ে কথা বলতে গিয়ে দু-চারটে বেফাঁস মন্তব্যও করে বসেন। একে অপরকেও শানাতে কসুর করেন না তারা। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কথার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy)। এবার তাই দিলীপ ঘোষ পাল্টা তাঁকে ‘ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমনোর’ নিদান দিলেন।
সৌগত রায়ের মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সৌগত রায়ের কথার কী মূল্য আছে? আবোল-তাবোল বকলে কোনও মূল্য থাকে নাকি। ওঁদের পার্টির লোকেরাই তো বিড়ম্বনায় পড়ে যাচ্ছেন। বয়স হয়েছে বোঝা যাচ্ছে”।
বলে রাখি, কয়েকদিন আগেই দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে সৌগত রায় বলেছিলেন, “দিলীপ পার্টি ছেড়ে দিক, তারপর বিচার করব”। তিনি আরও বলেন, “দিলীপবাবু ওর দল বিজেপি সম্বন্ধে হতাশ। তিনি সেই জন্য কখনও সিবিআইয়ের সমালোচনা করছেন, কখনও অন্য নেতাদের সমালোচনা করছেন। এটা আমাদের পক্ষে আনন্দের খবর। উনি আগে ওদের পার্টি ছেড়ে দিন, তারপর আমরা ওঁকে নিয়ে বিচার করব”।
গত বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়া এলাকায় রাবণ দহন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানেই সৌগত রায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এখন ওঁর এমন বয়স, কোনও পরামর্শ, কোনও ওষুধেই কাজ হবে না। আমার মনে হয়, ঘুমের ওষুধ খেয়ে ওঁর এখন ঘুমোতে যাওয়া উচিত”।
এখানেই শেষ নয়। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জামকুণ্ডার ঘটনা নিয়েও চরম সমালোচনা করতে শোনা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে। জামকুণ্ডায় এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সৈয়দ আলির পুকুর ধারে তড়িতাহত হয়ে এক আদিবাসী দম্পতির মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান এবং একজনকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এ নিয়ে দিলীপের মত, “যে কোনও ঘটনায় শাসক দল যুক্ত। যে কোনও জায়গায় ঘটনা হলে হয় পুলিশ চাপা দেয়, না হলে পার্টির সঙ্গে যুক্ত লোকজন চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে”। দিলীপের কথায় এই ঘটনাটি চাপা দেওয়ার জন্যেই তড়িঘড়ি আর্থিক অনুদান ও চাকরির কথা ঘোষণা করা হয়েছে।