রাজ্য

রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ১১০০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডি-র, কবে টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা?

রোজভ্যালি কাণ্ডে এবার নয়া মোড়। ফের আরও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। রোজভ্যালি গ্রুপ অফ কোম্পানি ও তার প্রোমোটারদের স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ৫৪ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর। এর মধ্যে গৌতম কুণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুর বিমাও রয়েছে। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে এই রোজভ্যালি কাণ্ডে ইডি মোট ১১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০০২ সালে আর্থিক তছরুপের আইনে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নতুন করে যে ৫৪ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, বিহারে একাধিক বাড়ি, জমিও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু। বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। এরপর তদন্ত যত এগিয়েছে, আরও নানান তথ্য জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

শুধুমাত্র গৌতম কুণ্ডুই নয়, এই রোজভ্যালি কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুকেও। এর আগেও রোজভ্যালির একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এর আগে এই মামলায় একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। টলিউডের দুই অভিনেতাকেও এই রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেফতারের পর তদন্তকারীরা তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান। আগে গৌতম কুণ্ডুর বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল বিদেশি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবী, ওই গাড়িগুলির দাম প্রায় ২৭ কোটি টাকা। ইডি সূত্রে খবর, রোজভ্যালির যে সমস্ত স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেসবের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, সারদা চিট ফান্ড কাণ্ডে মানি ট্রেইল অর্থাৎ টাকার হাতবদল খুঁজে পেতে হন্যে হতে হয়েছিল গোয়েন্দাদের। তবে রোজভ্যালির ক্ষেত্রে ততটাও হয়নি। কারণ অভিযোগ ছিল, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন বস্তায় ভরে টাকা পাচার করেছিলেন। সেই টাকা কার কাছে পৌঁছেছে বা সত্যিই পৌঁছেছে কী না, তা পরে প্রমাণ করা বেশ দুষ্কর হয়ে যায়। কিন্তু গৌতম কুণ্ডু স্থাবর সম্পত্তি করেছিলেন। মন্দারমনি, আন্দামান, ডুয়ার্স, কলকাতায় হোটেল, বিপুল পরিমাণ জমি, গাড়ি বাড়ি ইত্যাদি ছিল। এর জেরে সেই সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে আমানতকারীদের টাকা উদ্ধার করা তুলনামূলক সহজ হয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: