‘গণতন্ত্রের জন্য অন্ধকার, ভয়ঙ্কর দিন, ঔদ্ধত্যের সমস্ত সীমা পেরিয়েছে’, অভিষেকদের আটক করায় দিল্লি পুলিশকে তোপ মমতার

গতকাল, মঙ্গলবার দিল্লির কৃষি ভবন থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক তৃণমূল নেতাদের আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। মহিলাদেরও টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যাংদোলা করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। এমন ঘটনায় দিল্লি পুলিশের তীব্র নিন্দা করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১০০ দিনের কাজের টাকা ও আরও অন্যান্য প্রকল্পে বকেয়া টাকা আদায়ের দাবীতে দিল্লি যন্তরমন্তরে ধর্নাউ বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীরা। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই কৃষি ভবনে গিয়েছিলেন তারা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জনের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল অভিষেকের। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও দেখা করেন নি তিনি।
মঙ্গলবার দিনভর ঘটনার ধারাবাহিকতা দেখে চুপ থাকেন নি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে এক্স হ্যান্ডলে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি লেখেন, “এই দিনটি দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে একটা কালো দিন। বিজেপি বুঝিয়ে দিল যে দেশের গরিব মানুষের প্রতি তাদের বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা তো নেইই, উল্টে দমননীতির একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রথমত বাংলার দরিদ্র মানুষের কাজের টাকা আটকে রেখে হীনতার পরিচয় দিয়েছে তারা। এরপর আমাদের প্রতিনিধিরা যখন সেই প্রাপ্য আদায়ের দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল, তখন রাজঘাট ও কৃষিভবনে আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছে দিল্লির পুলিশ। তারা আমাদের নেতাদের এমনভাবে ভ্যানে তুলছিল, যেন তাঁরা সব দাগি অপরাধী! দিল্লি পুলিশ ঔদ্ধত্যের সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। নিজেদের সেই অহংকার দিয়ে বাংলার সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু মানুষ ভয় পায়নি”।
Today is a dark, sinister day for democracy, a day when @BJP4India revealed their disdain for the people of Bengal, their disregard for the rights of the poor and a complete abandonment of democratic values.
First, they callously withheld crucial funds meant for the poor of…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 3, 2023
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবী করেন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রথমে দুপুর ১২টায় তাদের সময় দিয়েছিলেন দেখা করার জন্য। কিন্তু পরে সময় বদল করেন তিনি। জানিয়েছিলেন যে তিনি দিল্লির বাইরে আছেন। কিন্তু এদিনই বিকেলে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন।
অভিষেকের অভিযোগ, এরপর দীর্ঘক্ষণ কৃষি ভবনে বসিয়ে রাখা হয় তাদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেখা করেননি তাদের সঙ্গে। এরপরই তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কৃষি ভবনে ধর্নায় বসে পড়েন। আর তাদের হঠাতে আসে দিল্লি পুলিশ। এরপরই শুরু হয় তুলকালাম কাণ্ড। তৃণমূল নেতাদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে দিল্লি পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ।