‘যেখানে ইচ্ছা হয় যাব, কোনও কৈফিয়ত দেব না’, স্পেন সফরে মমতার সঙ্গী হওয়া নিয়ে প্রশ্নে সটান জবাব সৌরভের

রাজ্যে শিল্পে লগ্নি টানতে স্পেন সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। মাদ্রিদে বাণিজ্য সম্মেলনে একই মঞ্চে মমতার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল দাদাকেও। সেখানেই তিনি শালবনিতে ইস্পাত কারখানা তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। এই নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় সৌরভকে। এই প্রকল্পের ঘোষণায় তিনি লুকিয়ে রাজনীতি করছেন বলেও দাগা হয় সৌরভকে। এবার এই নিয়ে জবাব দিলেন তিনি নিজেই।
কী বললেন সৌরভ?
নিজের বায়োপিক সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানের জন্য আজ কলকাতায় এসেছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন স্পিনার মুথাইয়া মুরলিধরন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সেই অনুষ্ঠান শেষে স্পেন সফর ঘিরে সমালোচনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সটান জবাব দিয়ে সৌরভ বলেন, “আমি সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলর কিংবা কোনও মন্ত্রী নই। আমি একজন নাগরিক। আমার কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। স্পেন হোক বা দিল্লি, যেখানে ইচ্ছে আমি সেখানে যাব। তার জন্য কারও কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নই”।
এখানেই শেষ নয়, সৌরভ আরও বলেন, “যেটা ভালো মনে হবে, তাতেই যাব। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকেই আমন্ত্রণ পাই। তাই এই অনুষ্ঠান দিল্লিতে হলেও দিল্লি থেকেই ঘোষণা করতাম। কলকাতায় হলে কলকাতা থেকে। কোনও পার্থক্য নেই। এমন সফরে অনেকেই যান। এখানেই দেখি, এসব নিয়ে এত লাফালাফি হয়, কথা হয়। আমরা জঙ্গলে থাকি না। সমাজে বাস করি। যাঁরা এর মধ্যে বিতর্ক টানছেন, তাঁদের বলব, এসব করবেন না। মানুষের কাছে আমাদের একটা ভাবমূর্তি রয়েছে, সেটা নষ্ট করবেন না। আমার সিদ্ধান্তে যতক্ষণ না কারও ক্ষতি হচ্ছে, ততক্ষণ যেখানে ইচ্ছা, যাব”।
মাদ্রিদে কী বলেছিলেন সৌরভ?
মাদ্রিদে বাণিজ্য সম্মেলনে ইস্পাত কারখানা গড়ার ঘোষণার পর সৌরভ বলেছিলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করতে বলছি না। কিন্তু মেদিনীপুরে এই ইস্পাত কারখানা গড়ে তোলার জন্য সরকার থেকে আমার অনুমতি পেতে মাত্র চার-পাঁচ মাস সময় লেগেছে। সরকার সবরকম ভাবে সাহায্য করেছে”।
সৌরভের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা কিছু কম হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি থাকাকালীন সৌরভের বাড়ি নৈশভোজে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। এরই মধ্যে এবার মাদ্রিদে বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করা নিয়েও তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে ঢের।