‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে এলাকার কোনও উন্নয়ন হবে না, পঞ্চায়েতে এসে কোনও সহযোগিতা মিলবে না’, হুঁশিয়ারি প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধানের

পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য সভা-মিছিল শুরু করেছে নানান রাজনৈতিক দল। এমনই এক সভা থেকে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান। হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রাক্তন উপপ্রধান বলেন, তৃণমূল প্রার্থীকে ভোটে না জেতালে এলাকার কোনও উন্নয়ন হবে না। পঞ্চায়েতে এসেও কোনও সহযোগিতা মিলবে না। তাঁর এহেন মন্তব্যে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
গতকাল, বুধবার নানুর বিধানসভার অন্তর্গত পাড়ুই থানার কসবা গ্রামে তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী রাখি সিংহের সমর্থনে একটি পথ সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলার তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ, নানুরের বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাঝি, তৃণমূল নেতা আকাশ শেখ। এদিন সকাল থেকেই আকাশের মুখভার ছিল। চলছিল বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এই সভায় ক্রমে ভিড় বাড়ে।
এই সভা থেকেই রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় গ্রামের প্রাক্তন উপপ্রধান নারায়ণ ভাণ্ডারীকে। তিনি বলেন, “আমরা ১৫টি আসনের মধ্যে ৯টিতে জিতে আছি। ৬টিতে নির্বাচন হবে। যদি এই ৬টিতে তৃণমূল প্রার্থীদের হারিয়ে দেন তাহলে এই বুথগুলিতে কোনওরকম উন্নয়ন হবে না। আপনারা পঞ্চায়েতে এসে দরবার করলেও কোনও লাভ হবে না। তাই প্রতিটা বুথ থেকে তৃণমূল প্রার্থীদের জেতাতে হবে”। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক।
এই প্রসঙ্গে কাজল শেখের দাবী, এটা সম্পূর্ণই নারায়ণ ভাণ্ডারীর ব্যক্তিগত মতামত। তবে দলের প্রার্থীর জয়ের বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
নারায়ণ ভাণ্ডারীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবির। বীরভূম জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি দীপক দাস বলেন, “গণতন্ত্র বলে কিছুই আর নেই বাংলায়। তৃণমূলের নেতারা যে যা পারছে তাই বলে যাচ্ছে। এখন আম-আদমিকে এভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদেরও। এটাই ওদের কালচার”।
তৃণমূল নেতার মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ে নি সিপিএম। সিপিআইএমের বীরভূম জেলার সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “এটাই তৃণমূলের কালচার। গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই তৃণমূলে”।