চাকরি চুরির সরকার! চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, টাকা ফেরত চাইলে মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি, তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে ধর্না প্রতারিতদের

গত এক বছর ধরে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। কোথাও টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ, তো কোথাও আবার চাকরির নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। এমনই এক অভিযোগ উঠল এবার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর ভাগ্নের বিরুদ্ধে। চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুললেন স্থানীয় যুবকরা।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। টাকা ফেরতের দাবী তুলে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন প্রতারিত যুবকরা। ওই যুবকদের বিরুদ্ধে আবার পাল্টা মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি শানিয়েছেন অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় শাসক দলকে তোপ দেগে বিরোধীদের স্লোগান, “চাকরি চুরির সরকার”।
অভিযোগকারীদের দাবী, ২০২১ সালে কৃষি দফতরের গ্রুপ সি-তে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মোটা টাকা হাতিয়েছিলেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি উত্তম ঘোষ ও তাঁর ভাগ্নে তৃণমূল কর্মী মিঠুন ঘোষ। বেশ কয়েকমাস কেটে গেলেও মেলেনি চাকরি। যুবকরা নিজেদের টাকা ফেরত চেয়েও পান নি। সেই কারণে শেষমেশ তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন তারা।
ওই অভিযোগকারীদের মধ্যে একজন জানান, “তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি উত্তম ঘোষ চাকরি পাইয়ে দেবেন বলেছিলেন। তার বদলে ২০২১ সালে ১১ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু চাকরি পাইনি। মাস কয়েক ধরে টাকা চাইছি। সেটাও দেয়নি”। একইভাবে চাকরির নামে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে ১১ লক্ষ টাকা করে নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই তৃণমূল নেতারই ভাগ্নের বিরুদ্ধেও।
এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে তৃণমূল নেতা উত্তম ঘোষ বলেন, “মিঠুন আমার ভাগ্নে হলেও সে কোথা থেকে কী টাকা নিয়েছে জানি না। আমার বিরুদ্ধে ওই যুবকরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। এই অভিযোগ প্রমাণ না করতে পারলে মানহানির মামলা করব”।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় তৃণমূলকে একহাত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকার এই প্রসঙ্গে বলেন, “চাকরি চুরির সরকার, কাটমানির সরকার। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক”।