রাজ্য

তৃণমূল নেতারাই বেধড়ক মারধর করলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে, ভাঙচুর করা হল পঞ্চায়েত অফিসও, প্রকাশ্যে ঘাসফুল শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এর দুই হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারির জেরে বেশ চাপের মুখে শাসক দল। এমন আবহে এবার ফের একবার উঠে এল গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনা।

ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের গুন্দিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতাদেরই বিরুদ্ধে। এমনকি, পঞ্চায়েত অফিসও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। চারজন পঞ্চায়েত সদস্যের পদ খারিজ করা নিয়েই তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েতে মোট ১১ জন সদস্য রয়েছেন। এদের মধ্যে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ৬, বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৩ ও কংগ্রেস ও নির্দলের একজন করে সদস্য রয়েছেন। ২০১৮ সালে তৃণমূলের দখলে আসে এই পঞ্চায়েত। কিন্তু অভিযোগ, পঞ্চায়েতের চারজন সদস্য দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্চায়েত অফিসে আসেন না।

এই কারণে তাদের সদস্য পদ খারিজ করার জন্য বিডিওর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। এরপর গতকাল, শনিবার পঞ্চায়েত সদস্য এবং পঞ্চায়েত প্রধানকে হিয়ারিংয়ের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিডিও। সেখানে যাওয়ার পথেই পঞ্চায়েত প্রধান হরপ্রসাদ ঘোষকে ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।

কংগ্রেস ও বিজেপি ছাড়াও তৃণমূলেরও এক নেতার বিরুদ্ধে এই মারধরের অভিযোগ উঠেছে বলে খবর। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস সদস্য প্রিয়ব্রত ঘোষ, বিজেপি সদস্য লালটু মণ্ডল এবং তৃণমূল সদস্যার স্বামী তাপস ঘোষ। পঞ্চায়েত থেকে নানান নথি চুরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। ভরতপুর থানার পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।

Back to top button
%d bloggers like this: