‘থানার আইসি নিজেই মা’দ’ক মজুত করেন’, এলাকায় রমরমিয়ে চলা বেআইনি ব্যবসা নিয়ে মুখ খুললেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক, উত্তেজনা আমডাঙায়

থানার আইসি নিজেই মা’দ’ক মজুত করেন। মা’দ’ক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে আইসির। পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান। খোদ বিধায়কের এহেন দাবীতে এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তৃণমূল বিধায়কের দাবী, এতদিন ধরে যে এলাকায় মা’দ’ক-সহ একাধিক নিষিদ্ধ সামগ্রীর ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে, তা আইসির মদতেই হচ্ছে। বিধায়কের দাবী, এমনটা যদি চলতে থাকে, তাহলে এলাকায় কোনওদিন শান্তি আসবে না। তৃণমূল বিধায়কের এমন দাবীর জেরে আমডাঙা এলাকার রাজনৈতিক মহলে বেশ গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল, সোমবার। এদিন কিছু দুষ্কৃতী মিলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাটের এক ব্যবসায়ীর উপর হামলা করে। আমডাঙার দারিয়াপুর এলাকায় এর জেরে বেশ উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন রাতেই এই হামলার প্রতিবাদ জানায় মালিক-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা, তারা নৈহাটি-হাবড়া রোড অবরোধ করেন। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তড়িঘড়ি আমডাঙা থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। এরপর অবরোধ ওঠে, জানা গিয়েছে, পুলিশ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে।
সূত্রের খবর, ওই দুষ্কৃতী মা’দ’কের কারবার চালায়। সোমবার এরই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন হাট মালিকের ছেলে। কিন্তু তিন দুষ্কৃতী আগেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তাঁর উপর। চলে বেধড়ক মারধরও। এই ঘটনার পর তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বলেন যে মা’দ’ক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমডাঙা থানার আইসির সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, “ড্রা’গ ডিলারদের সঙ্গে আমডাঙার আইসি অঞ্জন দত্তর সরাসরি যোগাযোগ আছে”।
স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তুলে আসছেন যে ওই আমডাঙা এলাকার বিডিও অফিস, থানার পাশে কাছাড়ি মোড়, দারিয়াপুরে প্রায়শই মা’দ’ক কারবার চলে। একবার স্থানীয় মহিলারা ম’দের ঠেক ভাঙচুরও করেছিলেন। সেই সময়ও মা’দ’ক কারবারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন বিধায়ক রফিকুর রহমান। কিন্তু তাও মা’দ’ক কারবারি বন্ধ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিধায়কের দাবী ওই আইসিকে যদি না সরানো হয়, তাহলে ওই এলাকায় শান্তি ফেরা সম্ভব নয়।