ভোটের আগেই খেলা শুরু, নদীয়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল বিধায়ক এবার বিজেপিতে!

এবার পালা নদীয়া জেলার। আজ নদীয়া জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা তেহট্টের প্রবীণ বিধায়ক গৌরীশংকর দত্ত যোগ দিচ্ছেন বিজেপি-তে। অর্থাৎ নদীয়া জেলাতেও শাসক শিবির ভেঙে চুরমার।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে আজ বিকালে তিনি কলকাতায় এসে বিজেপির সদরদপ্তরে যোগদান করবেন। আগের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নদীয়ার তেহট্ট থেকে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু এইবার তাকে প্রার্থী করা হয়নি। পাশের বিধানসভা কেন্দ্র পলাশীপাড়া থেকে বিধায়ক তাপস সাহাকে তেহট্ট আসন থেকে দাঁড় করানো হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন নিজের জেতা আসন থেকে বাদ দেওয়ায় তিনি বিজেপিতে যোগদান করছেন।
তবে গৌরীশংকর বাবু বলছেন অন্য কথা। তিনি জানিয়েছেন যে তিনি তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের সঙ্গে রয়েছেন। নদীয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি হিসাবে তিনি সাত বছর কাজ করেছেন। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তিনি তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ তিনি টিভি দেখে জানতে পারছেন যে তাকে প্রার্থী করা হয়নি। তাকে যে এইবার টিকিট দেওয়া হবে না সেই খবরটি জানানোর মতো সৌজন্যবোধ তৃণমূল থেকে দেখানো হয়নি।
আরও পড়ুন – দিলীপ ঘোষ নয়, এই তারকাকে খড়গপুরে প্রার্থী করল বিজেপি!
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, প্রার্থী কাকে করা হবে তার সমস্ত কিছু ঠিক করে দল। কিন্তু এত দিন দল করার পর তাকে কিছু জানানো হলো না, এই ঘটনা তার কাছে যথেষ্ট অসম্মানজনক মনে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গৌরীশংকর বাবু ১৯৯৮ সালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। দশ বছর আগে তাকে তেহট্ট আসনেই তৃণমূল টিকিট দিয়েছিল কিন্তু তিনি হেরেছিলেন। আবার আজ থেকে পাঁচ বছর আগে তিনি ওই আসন থেকেই জয়লাভ করে বিধায়ক হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী ছিলেন গৌরীশংকর বাবু। তার সঙ্গেই অসম্মানজনক ব্যবহার তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই রাগে-দুঃখে তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন – বিজেপির বিরোধীপক্ষই এবার বিজেপিতে, দক্ষিণ দমদমে তৃণমূলের বড়সড় ভাঙন
তিনি কিন্তু টিকিট পাওয়ার লোভে বিজেপিতে আসেননি। তাঁর কথায়, ‘‘যে দলটা ২০ বছরের বেশি সময় ধরে করলাম তাঁরা যখন এমন ভাবে বাদ দিল। তাহলে যে দলটা ২০ মিনিটও ভালো করে করিনি সেখানে কীভাবে টিকিটের প্রত্যাশা করব?’’