রাজ্য

আচমকাই উধাও হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা, নতুন বিপদে এবার রাজ্যের মেয়ে-বউরা

ফের একবার আধার এনাবেলড পেমেন্ট সিস্টেম বা এইপিএস ব্যবহার করে জালিয়াতির অভিযোগ উঠল। পুজোর আগে এই এইপিএস ব্যবহার করে অনেক অভাবী মানুষরা সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন। এবার প্রতারকদের জালে ফাঁসলেন মহিলারা। সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোণ দেওয়ার নামে সক্রিয় হয় এই প্রতারণা চক্র, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।

কোথা থেকে এল এমন অভিযোগ?

এই প্রতারণা চক্রের অভিযোগ এল এবার উত্তর দিনাজপুর থেকে। সেখানে রায়গঞ্জ ও ইটাহার ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের প্রতারণার জালে ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ।

কী ঘটেছে ঘটনাটি?

জানা গিয়েছে, একটি দল মহিলাদের গোষ্ঠী গড়ে লোণ দেওয়ার নামে নথি ও বায়োমেট্রিক মেশিনে হাতের ছাপ নিয়ে যায়। আর এরপরই সমস্ত টাকা গায়েব হয়ে যায়। এলাকাবাসীরা জানান, রায়গঞ্জ ব্লকের বুধোর গ্রামে দুর্গাপুজোর আগে এক ব্যক্তি এসেছিলেন। অভিযোগ, তিনি মহিলাদের গোষ্ঠী তৈরি করে লোণ পাইয়ে দেবেন বলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

গ্রামের অনেক মহিলাই সেই ফাঁদে পা দেন। নিজেদের আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড-সহ ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের প্রতিলিপি জমা দেন তারা। এরই সঙ্গে নিজেদের আঙুলের ছাপও দেন তারা। এলাকাবাসীদের কথায়, ওই ব্যক্তি দাবী করেছিলেন যে নানা ব্যাঙ্কের সঙ্গে নাকি তাঁর যোগাযোগ রয়েছে।

এই ঘটনায় প্রতারিত এক মহিলার অভিযোগ, “ওই ব্যক্তি আমাদের চেনা। প্রথম দিন এসে আমাদের নম্বর নিয়ে যায়। বলে লোন দেবে। আমরাও লোন নিতে তৈরি। ফোনও করি। সংস্থার নামও বলেছিল। সেসব তো আর আমাদের অত ভালভাবে মনে নেই। বলেছিল মালদহের সংস্থা”।

মহিলা জানান, ওই ব্যক্তি ৬ জন করে মোট তিনটি দলের সদস্যদের আঙুলের ছাপ নিয়ে গিয়েছিল। এর সঙ্গে নিয়েছিল আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের প্রতিলিপিও। কিন্তু মহিলারা আর লোণ পান নি। উল্টে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকেই গায়েব হয়ে গিয়েছে টাকা।

প্রতারিত ওই মহিলা জানান, “ওনাকে ফোনে বলি সবটা। এখন উনি অ্যাকাউন্ট নম্বর চাইছেন। আমরা সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানিয়েছি। আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ১১ তারিখ ১০ হাজার টাকা কাটে। ১৪ তারিখ ২০০ টাকা কেটে নেয়। এ গ্রামে ৪-৫ জনের হয়েছে। আশেপাশেও হয়েছে বলে শুনছি। এমনকী কারও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকেছে তাও উধাও”। এই ঘটনায় রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Back to top button
%d