ঝামেলা ঝালদায়! নির্বাচনের সময় ব্যালেট পেপার চুরি করে পালাল চার তৃণমূল কাউন্সিলর, প্রশাসনের নির্বিকার থাকার অভিযোগ কংগ্রেসের

ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময় ব্যালেট পেপার নিয়েই চম্পট দিল চার তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councilor)। এমনই অভিযোগ তোলা হয়েছে কংগ্রেসের (Congress) তরফে। সুরেশ আগরওয়াল ছাড়া ওই পুরসভার বাকি তিন তৃণমূল কাউন্সিলরের নামেই এমন অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল, সোমবার ঝালদা পুরসভায় ছিল চেয়ারম্যান নির্বাচন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। ঝালদা পুরসভার ১২টি আসনের মধ্যে ৭ জন কাউন্সিলর সমর্থন করেন শীলাকে। এর মধ্যে কংগ্রেস কাউন্সিলর ৬ ও একজন ছিলেন নির্দল কাউন্সিলর। কিন্তু তৃণমূলের ৫ জন কাউন্সিলর পুরসভায় এদিন উপস্থিত থাকলেও নির্বাচনে অংশ নেন নি তারা।
এদিন এই নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হতেই চার তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ঝালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল। পুলিশ সুপারের কাছে ইমেল মারফত তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।
ওই কংগ্রেস কাউন্সিলর এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “আমি এই ভোট প্রক্রিয়ায় সভাপতি ছিলাম। ভোট শুরুর সময় একে একে সবাইকে যখন ব্যালট পেপার দিচ্ছিলাম, তখন চার কাউন্সিলর ব্যালট পেপার নিয়েই পুরসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান। আমরা সমস্ত ঘটনাটি পুরসভায় উপস্থিত মহকুমাশাসককে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু উনি কোনও পদক্ষেপ করেননি। আমাদের অভিযোগের ‘রিসিভড কপি’ও দেননি। তাই আমরা ঝালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যাই। কিন্তু থানাও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। তখন বাধ্য হয়ে মেল মারফত অভিযোগ করেছি”।
এই ঘটনায় সদ্য নির্বাচিত হওয়া পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ও ওই চার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযুক্ত চার কাউন্সিলরের তরফে যদিও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি এখনও পর্যন্ত। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “ওঁরাই (কংগ্রেস কাউন্সিলররা) তো নির্বাচনের বিষয়টি বিধি মেনে করেননি। এখন আমরা যখন এ নিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি এবং আদালতেও জানানো হবে বলছি, তখন এ সব ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে”।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে বাদ যায়নি গেরুয়া শিবিরও। বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙার তোপ দেগে বলেন, “ঝালদায় যা কিছু হচ্ছে, তা তৃণমূলের একটা গোষ্ঠীর মদতে হচ্ছে। এগুলো সবই ভাগের লড়াই। আর এর ফলে পুরসভার মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে”।