রাজ্য

‘পার্থকে ছাঁটতে সাতদিন, কেষ্টকে ছাঁটতে সাতমাস সময় লাগল কেন’? অনুব্রতহীন বীরভূমে সফর নিয়ে মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

গরু পাচার মামলায় (cattle smuggling case) গত পাঁচমাস ধরে জেলে রয়েছেন বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এবার এই প্রথমবার অনুব্রতহীন বীরভূমে সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর তাঁর এই সফরে থাকছে না অনুব্রতর কোনও চিহ্ন। কোনও পোস্টার বা ব্যানারে নেই অনুব্রতর ছবি। এমনকি, অনুব্রতর নাম নিয়ে কোনও আলোচনা করতেও বারণ করা হয়েছে দলের তরফে। এসব থেকেই প্রশ্ন উঠেছে যে তাহলে কী নিজের প্রিয় ‘কেষ্ট’কে ছেঁটে ফেলতে চাইছেন মমতা? বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মতে, কোনও পোস্টার বা ব্যানারে অনুব্রতর ছবি না থাকা আসলে তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ানোর ইঙ্গিত।

আজ, সোমবার দিলীপ ঘোষ বলেন, “পার্থকে ছাঁটতে সাত দিন নিয়েছিল। কেষ্টকে ছাঁটতে সাত মাস লাগল? একজনের কাছে ৫৫০ কোটি আর একজনের কাছে ৩৫০ কোটি। আসলে যে যত বেশি টাকা তুলতে তৃণমূলে তার তত বেশি গুরুত্ব। এখন বাঘ খাঁচায় বন্দি। খেঁকশিয়ালদের জেলে ভরা হচ্ছে। এগুলো সব টেন পার্সেন্টের লোক। যারা আশি নব্বই পার্সেন্ট নিয়েছে, তারা যতক্ষণ পর্যন্ত ধরা না পড়বে, এর মূলে পৌঁছানো যাবে না। আরও অনেক ক্লু পাওয়া যাবে। দুর্নীতি সামনে আসবেই”।

গত আগস্ট মাসে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। পাঁচ মাস কেটে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয় নি তৃণমূল। জেলবন্দি অনুব্রত এখনও বীরভূমের জেলা সভাপতি রয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের নানান নেতা-নেত্রীরা সমর্থন করেছেন ‘কেষ্ট’কে। ফিরহাদ হাকিম তো তাঁকে ‘বাঘ’ বলেও উল্লেখ করেছেন।

তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়নি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে দল ও মন্ত্রিত্ব থেকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। সেই কারণেই দিলীপের এহেন মন্তব্য। যদিও বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। এই নিয়ে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার দিলীপ ঘোষকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন তিনি যাতে নিজের দল নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেন।

বলে রাখি, আজ, সোমবার বইমেলার উদ্বোধনের পর বোলপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বুধবার পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তিনি। তাঁর এই বীরভূম সফর যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক, উভয় দিক থেকেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এখন এটাই দেখার যে অনুব্রতহীন বীরভূম থেকে কী কী বার্তা দেন মমতা।

Back to top button
%d bloggers like this: