ফের অশান্তি শান্তিনিকেতনে! ফেন্সিং দেওয়া যাবে না, বিরোধিতায় শান্তিনিকেতনের মেলামাঠ বাঁচাও কমিটি

ফের উত্তপ্ত গুরুদেবের বিশ্বভারতী! পৌষমেলার মাঠকে কেন্দ্রে রেখে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল শান্তিনিকেতন (Shantiniketan)। উচ্চ আদালতের (high Court) নির্দেশে গতকাল অর্থাৎ সোমবার থেকেই পৌষ মেলার মাঠকে ঘিরে দেওয়ার জন্য ফেন্সিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আর আজ সেই ফেন্সিং-এর বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামল শান্তিনিকেতনের মেলামাঠ বাঁচাও কমিটি। মাস খানেকেরও বেশি সময় ধরে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার মাঠ। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (visva bharati University Authority) মাঠটি ঘিরে ফেলতে চায়। পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হতেই গত ১৭ আগস্ট তুমুল অশান্তির মুখে পড়তে হয় কর্তৃপক্ষকে। পে-লোডার দিয়ে তা ভেঙে দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নরেশ বাউড়ির বিরুদ্ধে।
এই ঘটনা পৌঁছয় উচ্চ আদালত পর্যন্ত। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এই ঘটনা নিয়ে চলে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। সমস্যা সমাধানে কলকাতা হাইকোর্ট ৪ সদস্যের এক কমিটি তৈরি করে। শান্তিনিকেতনে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের গুরুদায়িত্ব পড়ে এই কমিটির উপর। কিন্তু আলোচনার টেবিলে ঐক্য গড়ে তোলার কাজে ব্যর্থই হয় হাইকোর্ট গঠিত কমিটি। গত শনিবারও বৈঠকের পর তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন সেখানকার ব্যবসায়ী সমিতি, স্থানীয় বাসিন্দারা।
বৈঠকে উচ্চ আদালতের গঠিত কমিটির সঙ্গে আলোচনার পর অনেকেই অভিযোগ তুলেছিলেন যে মেলার মাঠ ঘিরে ফেলার পক্ষেই তাঁরা। এই মনোভাব পছন্দ হয়নি শান্তিনিকেতনের বাসিন্দাদের। সোমবার দেখা গেল, অভিযোগ অনেকাংশেই সত্য। কারণ, হাইকোর্টের কমিটির তত্বাবধানেই মেলার মাঠে ফেন্সিংয়ের (Fencing) কাজ শুরু হয়েছে। এরপরই বিরোধিতা করে নিজেদের আন্দোলনের পরিকল্পনা করে মেলামাঠ বাঁচাও কমিটি।
আজ সকাল থেকে বোলপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে চলছে প্রচার। বাউল গানে নিজেদের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। পৌষ মেলার মাঠ ঘেরার বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদে সামিল করার আহ্বান জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) আশ্রমিকদের। এ নিয়ে আগের দিনের মতো ফের গুরুতর অশান্তির আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। বর্তমানে এই বিরোধিতা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।