রাজ্য

প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী বিরোধিতা! নতুন প্রার্থীদের মানছে না স্থানীয় নেতৃত্ব। দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী বদলের দরবার অনুব্রতর কাছে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর থেকেই দলের মধ্যে ক্ষোভ, অসন্তোষের সীমা মাত্রা ছাড়িয়েছে। টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছেন বহু। তার আঁচ লেগেছে অনুব্রত-গড় বীরভূমেও। ১১টির মধ্যে দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী বদলের দরবার করা হল দাপুটে এই নেতার কাছে।

আরও পড়ুন –BREAKING: যিশু সেনগুপ্তও কী এবার বিজেপিতে? রুদ্রনীলের ছবিতে বাড়ছে জল্পনা

বীরভূমে মোট ১১টি বিধানসভা আসন। প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ১১টির মধ্যেও ব্যতিক্রমী হল শুধুদুটি কেন্দ্র। নলহাটি ও দুবরাজপুর। এই দুটি কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে দলের একাংশ ক্ষুব্ধ। প্রকাশ্যেই তৃণমূলের একাংশ বিরোধিতা শুরু করেছে দলের তরফে ঘোষিত প্রার্থীর।

২০১৬-র নির্বাচনে দুবরাজপুরে প্রার্থী ছিলেন নরেশচন্দ্র বাউরি। তাঁর জায়গায় এবার প্রার্থী হয়েছেন অস্মিতা ধীবর। আর নলহাটিতে এবার মইনুদ্দিন শামসের পরিবর্তে টিকিট দেওয়া হয়েছে রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহকে। শুক্রবার রাতেই কেঁদেকেটে দল ছেড়েছেন শামস। আর নরেশ বাউড়ির সমর্থকরা নতুন প্রার্থীকে মানতে নারাজ।

আরও পড়ুন –WB Election 2021: ‘মিঠুন চক্রবর্তী মূলত একজন নকশাল’, অভিনেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে সৌগত রায়

এই দুই প্রার্থীকে বদল করার আর্জি জানিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে দরবার শুরু করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এর ফলে প্রবল বিড়ম্বনায় পড়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডল এই মর্মে কী অবস্থান নেন সেই দিকেই তাকিয়ে কর্মী-সমর্থকরা। সব মিলিয়ে একুশের ভোটের আগে অস্বস্তিতে তৃণমূল।

এমনকি এই রকম খবর‌ও পাওয়া যাচ্ছে যে নতুন প্রার্থীদের হয়ে দেওয়াল লিখনেও বের হচ্ছেন না কর্মীরা। দলের ভিতরে এই দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব‌ও। দুবরাজপুরের নতুন প্রার্থীকে নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সভাও করেছেন। কিন্তু দলীয় কর্মীদের একাংশ তা মানতে চাইছেন না।

Back to top button
%d bloggers like this: