India

ভাগাড়ের মাংস অতীত! চিকেন বলে রেস্তোরাঁয় পরিবেশন করা হচ্ছে কুকুরের মাংস, হাতেনাতে পড়ল ধরা, প্রবল হইচই শহরে

বিজ্ঞাপন

সালটা ২০১৮। ভাগাড়ের মাংস নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল সব জায়গায়। ভয়ে প্রায় মাংস খাওয়াই ত্যাগ করে দিয়েছিলেন অনেকে। পাঁচ বছর পর ফের পুরনো স্মৃতি ফিরল। কুকুরের মাংস বিক্রি হচ্ছে দেদার। যে সময় ভাগাড়ের মাংস নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল সে সময় মৃত কুকুর বিড়ালের মাংস নিয়ে নাকি তন্দুরি হচ্ছিল দেদার। শুধু রাস্তার দোকানগুলিতেই নয় অনেক রেস্তোরাঁতেও সে সময় রাতের অন্ধকারে পৌঁছে যেত কুকুর-বিড়ালের মাংস। অনেক নামই দোকানগুলিতেও মিট হিসেবে বিক্রি হয়েছিল যেসব প্রাণীর মাংস তা কল্পনার অযোগ্য ছিল বাঙালির। মূলত কলকাতা কেন্দ্রিক বিভিন্ন দোকানে ভাগাড়ের মাংসের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

পচা মাংস স্বাভাবিক করার জন্য ফর্মালিন, লেড সালফেট, অ্যালুমিনিয়াম সালফাইডের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হত। এইসব রাসায়নিক বিষাক্ত মানুষের পাকস্থলীর জন্য। ফর্মালিন সরাসরি ক্ষয় হয় খাদ্যনালিতে। এসব রাসায়নিকের প্রভাবে পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, হাত-পা ঝিমঝিম এর মতো স্নায়বিক সমস্যা এমনকি বড় বড় হার্ট-কিডনির রোগ পর্যন্ত হতে পারে। ‌

বিজ্ঞাপন

এবার ফিরে এলো ভাগাড়ের মাংসের স্মৃতি। এক রেস্টুরেন্টে দেদার বিক্রি হচ্ছে কুকুরের মাংস। স্থানীয়রা খবর পেতেই পৌঁছে গিয়েছে এলাকায়। এমনকি সেই স্থান থেকে বহু কুকুরকে আটকে রাখতেও দেখা গিয়েছে। প্রায় আর দশটি কুকুর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই কুকুর গুলির মুখে তার দিয়ে বাধা ছিল। যাতে ওই প্রাণীগুলি কোনরকম চিৎকার না করতে পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা। দেখে বোঝা যাচ্ছে ওই সারমেয়গুলি বেশ ভয়ার্ত। গাড়ি ও হোটেলের ৫ থেকে বেশ কিছু কুকুরকে উদ্ধার করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রামনগর এলাকার একটি নামই রেস্টুরেন্ট বন্ধন। সেখানে এই রমরমিয়ে চলছে কুকুরের মাংস বিক্রির ঘটনা।

বিজ্ঞাপন

ওই রেস্টুরেন্টের মালিক এবং কর্মীদের বের করে আটকে রাখা হয়েছে। ‌ এমনকি এই ঘটনার পরও রেস্টুরেন্ট মানিক মানতে রাজি নন তার ভুল। তাই স্থানীয়দের কেউ কেউ ওই রেস্টুরেন্ট মালিকের উপর চড়াও হয়েছেন। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয়েছে রেস্টুরেন্ট মালিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে। ‌স্থানীয়রা পুলিশের সাহায্য ছাড়াই নিজেরাই সেই দোকানে গিয়ে চড়াও হয়েছে। রেস্টুরেন্ট মালিক কে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে তুলে দেওয়া হবে পুলিশের হাতে। রেস্টুরেন্ট মালিকসহ দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে বেঁধে রেখে মারধোরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। তবে মারধরের ঘটনায় অনুতপ্ত নন স্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনায় হকচকিয়ে গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকেই এই দোকান থেকে কোন না কোন সময় খাবার খেয়ে থেকেছেন তাদের মাথায় হাত পড়েছে। তবে কি চিকেন,মটন-এর বদলে খেয়েছেন কুকুর? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনাটি কলকাতার রামনগরের নয়। কুকুরের মাংস বিক্রির ঘটনাটি ঘটেছে আসামের শিলচরের রামনগর এলাকায়। ওই এলাকার বন্ধন রেস্টুরেন্টে কুকুরের মাংস বিক্রির ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল। অনেকেই সেই ভিডিওর কমেন্টে পাঁচ বছরের পুরনো ভাগাড়ের মাংসের স্মৃতির কথা তুলে ধরেছেন।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

(সবার আগে সব খবর, সঠিক খবর জানতে ফলো করুন আমাদের Google News, Whatsapp, Facebook, X Handle (Twitter), Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

Back to top button