আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আমজনতার, নবজোয়ার কর্মসূচির মধ্যেই পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণ করলেন অভিষেক

আমজনতা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। সেই কারণে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির মধ্যেই এক পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণ করলেন তৃণমূল সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাটি ঘটে গতকাল, শুক্রবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের পদুমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে।
এদিন অভিষেক যখন কোলাঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময় পদমপুরের মহিলারা রাস্তায় তাঁর কাছে ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগ, মানসী দাস নামে ওই পঞ্চায়েত প্রধান নানান কাজের জন্য গ্রামবাসীদের থেকে টাকা। সূত্রের খবর, সেই অভিযোগ পাওয়ার পর গতরাতের মধ্যেই ওই পঞ্চায়েত প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় দলের তরফে। সেই মতো মানসী দাস ইতিমধ্যেই প্রধানের পদ ছাড়েন।
দুর্নীতির সঙ্গে অনুন্নয়ন,এই দুই অভিযোগ একসঙ্গে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত প্রধানকে পদ থেকে ইস্তফা দিতে দলের জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ পাঠান অভিষেক। এরপর রাত সোয়া আটটায় তমলুক বিডিওকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন মানসী।
এই প্রথমবার নয়, এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দলের নীচু তলার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগ জমা পড়ার পর দলের তরফে কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরে অভিষেক যখন কাঁথিতে সভা করতে গিয়েছিলেন, সেই সময় মারিশদার গ্রামবাসীরা তাঁর কাছে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান-উপপ্রধানদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন।
আর সেই ঘটনার পর পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রমাকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্রকে পদ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সেই নির্দেশ নিয়ে পরবর্তীতে অনেক জলঘোলা হয়।
অন্যদিকে, গতকাল, শুক্রবার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ফের কেন্দ্র সরকারকে তুলোধোনা করেন অভিষেক। বলেন, “মোদী সরকার শুধু তাড়াহুড়ো করে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস চালু করছে, বিদেশ থেকে নজরদারির জন্য পেগাসাস সফটওয়্যার কিনছে কিন্তু, রেলের আধুনিকীকরণে কোনও কাজ করছে না। এর ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আমি মৃতদের পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। তাদের পাশে রয়েছি”।