রাজ্য

‘সেন্ট্রাল জেলে জমজমাট সরস্বতী পুজো, পুজো করবেন দুই ভটচায বামুন সুবীরেশ-মানিক, ফিতে কাটবেন পার্থ’, চরম কটাক্ষ মীনাক্ষীর

আজ সরস্বতী পুজো। রাজ্যের নানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাঙালির ঘরে ঘরে হচ্ছে বাগদেবীর আরাধনা। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষা দফতরের বেশিরভাগ লোকজনই নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে আপাতত জেলবন্দি। শ্রীঘরেই দিন কাটছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা ও আরও অনেকেরই।

বলতে গেলে সেই দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে কালীপুজো, ভাইফোঁটা, বড়দিন, নববর্ষ সবই তাদের কেটেছে জেলের মধ্যেই। আর এবার সরস্বতী পুজোতেও জেলের ভিতর শিক্ষা দফতরেরই লোকজন। এই নিয়ে এবার কটাক্ষ করলেন বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

গতকাল, বুধবার বনগাঁর গোপালনগরের একটি প্রকাশ্য জনসভা থেকে এই শিক্ষা দফতরের ব্যক্তিত্বদের তোপ দেগে মীনাক্ষী বলেন, “এমনিতে সরস্বতী পুজোর সময়ে পাড়ায় পাড়ায় পুরোহিতদের পাওয়া দায় হয়ে যায়। ঠাকুরমশাইকে অনেকসময়ে বগলদাবা করে তুলে এনে বসিয়ে দেওয়া হয় মণ্ডপে। কিন্তু সেন্ট্রাল জেলে এবার সরস্বতী পুজো দারুণ জমবে। ওখানে পুরোহিতের অভাব নেই। দুই ভটচায বামুন আছেন, সুবীরেশ আর মানিক। ওঁরা পুজো করে দেবেন আর ফিতে কেটে দেবেন পার্থ”।

এখানেই শেষ নয়। মীনাক্ষী আরও বলেন, “কেউ কেউ এখানে আমাদের লোকদের হুমকি দিচ্ছে, বেশি ট্যাঁ ফোঁ করলে জব কার্ড বাতিল করে দেবে, আবাস যোজনা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেবে। আমরাও তাদের বলছি, বেশি ট্যাঁ ফো করবে না, আমরাও টেংরি খুলে নিতে জানি”। এদিন বামনেত্রীর জনসভায় বেশ উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।

তবে মীনাক্ষীর এহেন মন্তব্যের জেরে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়ে নি ঘাসফুল শিবির। সিপিএম নেত্রীকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “বাংলার মানুষ গণতান্ত্রিকভাবে সিপিএমের টেংরি খুলে নিয়েছে। বিধানসভায় শূন্য। তাই হতাশায় এসব বলছেন”।

Back to top button
%d bloggers like this: