West Bengal

নে’শার কী টান! হাসপাতালে বেডে বসে অক্সিজেন মাস্ক মুখ থেকে নামিয়ে সি’গা’রে’টে সুখটান, মুখই ঝলসে গেল গৃহবধূর

বিজ্ঞাপন

শ্বাসকষ্টে ভোগার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু নে’শাকে কোনওভাবেই বাগে আনতে পারেন নি। হাসপাতালের বেডে বসে অক্সিজেন মাস্ক মুখ থেকে নামিয়ে ধরিয়ে ফেলেন সি’গা’রে’ট। একবার সুখটান দিতেই গোটা মুখটাই ঝলসে গেল গৃহবধূর। এমন অবস্থা দেখে শঙ্কিত চিকিৎসকরাও।

বিজ্ঞাপন

ঠিক কী ঘটেছিল ঘটনাটি?  

ওই গৃহবধূর নাম অরুণা অধিকারী। হাবড়া হাটথুবা ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছে, ঠাণ্ডার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন হাবড়া হাসপাতালে। গত রবিবার হাসপাতালের বেডে বসেই ঘটিয়ে ফেলেন এক কাণ্ড।

বিজ্ঞাপন

রবিবার গভীর রাতে হঠাৎই মারাত্মক নে’শা চড়ে যায় ওই মহিলার। সামলাতে পারেন নি নিজেকে। তাই হাসপাতালের বেডে বসেই অক্সিজেন মাস্ক খুলে সি’গা’রে’ট জ্বালান। বাকি রোগীদের বয়ান অনুযায়ী, সি’গা’রে’ট ধরিয়ে একটান দিতেই দপ করে আগুন জ্বলে ওঠে। আর তাতেই ঝলসে যায় ওই মহিলার মুখ।

বিজ্ঞাপন

আগুন দেখে চিৎকার করতে থাকেন বাকি রোগীরা। ছুটে আসেন হাসপাতালের কর্মী ও নার্সরা। সকলেই হতভম্ব হয়ে যান ঘটনাটি দেখে। চিকিৎসা শুরু হয় ওই মহিলার। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় গতকাল, সোমবার তাঁকে বারাসাত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।  

বিজ্ঞাপন

 স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

এই ঘটনায় সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতালে বেডে বসে ওই রোগী ধূ’ম’পা’নের জিনিস বা দেশলাই কোথায় পেলেন? হাসপাতালের বেডে বশে এক রোগী কীভাবে ধূ’ম’পা’ন করতে পারেন? কারোর নজরে কেন এল না বিষয়টি? কোথায় ছিলেন কর্তব্যরত নার্স? একাধিক এমন প্রশ্ন উঠেছে এই ঘটনায়।

কী বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

এই ঘটনায় খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে অন্যান্য রোগীরা। হাবড়া হাসপাতালের সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস বলেন, “বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ভিজিটিং আওয়ার্সে তো বাড়ির লোক আসে দেখা করতে। সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে”।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাবড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নারায়ণ সাহা বলেন, “সম্পূর্ণ ঘটনা শুনেছি। খোঁজখবর নেওয়া হবে কীভাবে হাসপাতালের ভেতরে ধূমপান করার জিনিসপত্র পৌঁছল, তাও তদন্ত করে দেখা হবে।

বিজ্ঞাপন

(সবার আগে সব খবর, সঠিক খবর জানতে ফলো করুন আমাদের Google News, Whatsapp, Facebook, X Handle (Twitter), Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

Back to top button