ভাইরাল

হাহাকার! বোনের বিয়ের টাকা জোগাড় করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে কান্না ডেলিভারি বয়ের, পাশে দাঁড়ালো সোশ্যাল মিডিয়া

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি দিল্লির বাসিন্দা সোহম ভট্টাচার্য যাচ্ছিলেন জিটিবি নগরের পাশ দিয়ে এমন সময় তার কাছে আসে এক যুবক। ছেলেটির নাম আয়ুষ সাইনি। ছলছল চোখে সে জানায় সে একজন জ্যোমাটো ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ (Zomato delivery boy)। কিন্তু সম্প্রতি সেই সংস্থা তার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। আবার কদিন বাদেই তার বোনের বিয়ে। ‌ বিয়ের জন্য প্যান্ডেলের লোকেদের পেমেন্ট করতে হবে। তাই বর্তমানে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে রয়েছেন তিনি। বোর্ডের বিয়ের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে সারাদিন খাবারও জোটেনি আয়ুশের কপালে। নিরুপায় দাদা রাস্তায় রাস্তায় বোনের বিয়ের জন্য সাহায্য চাইছে। 

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনা শুনে আয়ুষের ছবিসহ ঘটনার বিবরণ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন সোহম। সোহম সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, কদিন পর এই লোকটির বোনের বিয়ে, জ্যোমাটো অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। জিটিবি নগরের কাছে সে সবার কাছে গিয়ে বোনের বিয়ের জন্য টাকা চাইছিল। ‌এমনকি বোনের বিয়ের টাকা জোগাড় করতে সারাদিন না খেয়ে ছিল আয়ুষ। 

বিজ্ঞাপন

যে মানুষটা কঠোর পরিশ্রম করে রক্ত জল করে বোনের বিয়ের টাকা জমাচ্ছিল, হঠাৎ তার পায়ের মাটি সরে গেল। তবে কি বরখাস্ত হলেন চাকরি থেকে। এই সময় কেমন অবস্থা হবে? বাবার পরই দাদাদের কর্তব্য থাকে বোনকে দেখে রাখার। সেই দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কার্যত দিশেহারা এই দাদা। সে হাতটা গুটিয়ে বসে নেই নিজের চেষ্টায় সে এখন রেপিডোতে কাজ করছে। ওই ডেলিভারি এক্সিকিউটিভকে (Zomato delivery boy) সাহায্য করার জন্য সোহম একটি কিউআর কোড শেয়ার করেছে ও সকলকে অনুরোধ করেছে অসহায় দাদাকে সাহায্য করার জন্য। মুহূর্তের মধ্যেই কয়েক মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে যায় এই পোস্ট। 

বিজ্ঞাপন

হাহাকার! বোনের বিয়ের টাকা জোগাড় করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে কান্না ডেলিভারি বয়ের, পাশে দাঁড়ালো সোশ্যাল মিডিয়া 2

বিজ্ঞাপন

অনেক মানুষের সহানুভূতি পেয়েছেন সেই যুবক। কেউ কেউ আবার কিউআর কোডের মাধ্যমেই তাকে আর্থিক সাহায্য করেছে। আবার অনেকেই আঙ্গুল তোলেন জ্যোমাটোর দিকে। এই ঘটনা সামনে আসতেই দেরি করেননি জ্যোমাটো। তাদের কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, “আমরা আমাদের ডেলিভারি পার্টনারকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করি আমরা বুঝতে পারি আইডি ব্লক করায় কি প্রভাব ফেলতে পারে। নিশ্চিন্ত থাকুন আমরা এসব ঘটনা গুরুত্ব সহকারেই নেই। আমরা আশ্বাস দিচ্ছি আমরাই বিষয়টি দেখব। আমাদের ডেলিভারি পার্টনাররা আমাদের গ্রাহকদের মতই গুরুত্বপূর্ণ”।

কেউ কেউ আবার আঙ্গুল তুলেছে ছেলেটির দিকেই। তাদের মনে হয়েছে ছেলেটি হয়তো সত্যিই বিপদে নেই। তার সেন্টিমেন্ট ব্যবহার করে খেলা করছে মানুষের সাথে। তাদের উত্তরে আবার কেউ কেউ বলেছেন মুখ দেখে ছেলেটিকে নিরীহ মনে হচ্ছে। ছেলেটি প্রমাণ দেখিয়েছে, আপনার মনে সন্দেহ এলে আপনি সাহায্য করবেন না। তবে কারণ ছাড়া কাউকে সন্দেহ করে দোষারোপ করবেন না। 

মেয়েদের জীবনের সংগ্রামের কথা সকলে বলে। তবে ছেলেদের জীবন সংগ্রামটাও কিছু কম নয়। কিন্তু তাদের কথা বলতে শোনা যায় না কাউকেই। এই ছেলের কাঁধেও রয়েছে বাবা-মার দায়িত্ব বোনের বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব। খোঁজ নিলে দেখা যাবে আমাদের পছন্দের খাবার আমাদের মুখে তুলে দিতে কত বেলা নিজেরাই খাবার খাওয়ার সময় পান না ডেলিভারি এক্সিকিউটিভরা। তারপরও তাদের কোন অভিযোগ থাকে না। মুখ বুঝে কাজ করে চলে বাবা মায়ের দেখভালের জন্য, বোনের বিয়ে দেওয়ার জন্য। জীবন সংগ্রামের সকলকে লড়তে হয় শুধু পটভূমিটা পাল্টে যায়।

বিজ্ঞাপন

(সবার আগে সব খবর, সঠিক খবর জানতে ফলো করুন আমাদের Google News, Whatsapp, Facebook, X Handle (Twitter), Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

Back to top button