লাইফ স্টাইল

ফুসফুসে গভীর আঘাত করোনার! সংক্রমণের সঠিক মাত্রা নির্ণয়ে ভরসা সিটি স্ক্যানই

বিজ্ঞাপন

কিছুদিন আগেই এইমসের চিকিৎসক ডঃ রণদীপ গুলাটিয়া বলেছিলেন যে যাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার হালকা লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে, তাদের সিটি স্ক্যান করানোর কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, সিটি স্ক্যান করলে আবার ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এবার নতুন একটি তথ্য নিয়ে এসেছে আইআরআইএ। এই সংস্থার মতে, এরকম কোনও সমস্যা হয় না। বরং ভাইরাস সংক্রমণ সঠিকভাবে নির্ণয় করতে সিটি স্ক্যান আবশ্যক।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- সদ্যই করোনামুক্ত হয়েছেন? টুথব্রাশ-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এখনই বদলে ফেলুন, নাহলেই মহাবিপদ!

বিজ্ঞাপন

ডঃ রণদীপ গুলাটিয়ার বক্তব্য ছিল, একটি সিটি স্ক্যান ২০০ থেকে ৪০০ চেস্ট এক্স-রে বরাবর। এর জেরে পরবর্তীকালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই কোনওরকম সমস্যা হলে সবার আগে চেস্ট এক্স-রে করানো উচিত।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এদিকে, আইআরআই বলছে যে এমনটা ৩০ থেকে ৪০ বছর আগে হত। তবে আধুনিক সিটি স্ক্যান এ আল্ট্রা লোড সিটি ব্যবহার করা হয় যা শুধুমাত্র ৫ থেকে ১৯ এক্স-রের বরাবর। তাদের বক্তব্য, গোটা পৃথিবীর রেডিওলজিস্টরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তারা এও আশ্বস্ত করেন যে সিটি স্ক্যান করলে ফুসফুসে কোনওরকম আঘাত পড়ে না। একটি চেষ্ট সিটি স্ক্যান করালে কোনও ব্যক্তি উপর রেডিয়েশনের ততটাই প্রভাব পড়ে, যতটা সেই ব্যক্তি এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রেডিয়েশন এর সংস্পর্শে আসেন।

আসলে, সাধারণভাবে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কী না তা জানতে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এখন এই পদ্ধতিতে মিউটেন্ট ভাইরাসের কারণে কোনও ব্যক্তির শরীরে মহামারী লক্ষণ দেখা গেলেও টেস্ট করার পর রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- করোনাকালে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত, কীভাবে বাড়াবেন শরীরের ইমিউনিটি, জানুন

কিন্তু সিটি স্ক্যান করলে ফুসফুস ঠিক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা বোঝা যায়। এর ফলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যায় কোনও ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত কী না। তাছাড়া, সিটি স্ক্যানই বলে দেয় করোনা মানুষের শরীরে ঠিক কতটা গভীরভাবে বাসা বেঁধেছে।

বিজ্ঞাপন

(সবার আগে সব খবর, সঠিক খবর জানতে ফলো করুন আমাদের Google News, Whatsapp, Facebook, X Handle (Twitter), Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

Back to top button